পদ্মা সেতু প্রকল্পের কথিত দুর্নীতি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হয়েছে।
বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সত্য চিরকাল গোপন করা যায় না। ষড়যন্ত্রকারীদের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ করেছে তা অসত্য প্রমাণিত হয়েছে।”
“কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের তৎপরতায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছে”, যোগ করেন তিনি।
২৯০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করার পরেও বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত অক্টোবরে অর্থায়ন স্থগিত করে। এ প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও জাইকারও অর্থায়নের কথা ছিল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে পদ্মা সেতু নির্মাণে তার সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, “আমি সরকারি নিয়ম-কানুন ও পিপিআর ভঙ্গ করে কোনো কাজ করিনি। কাউকে অনৈতিকভাবে কাজ করার জন্য প্রভাব বিস্তার করিনি।
“পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অঙ্গীকার হওয়ায় এ সেতু নির্মাণে আমি স্বচ্ছতা, সততা, জবাবদিহিতা ও ইন্টিগ্রিটি বজায় রেখে কাজ করেছি।”
সেতু নির্মাণ কাজ পিছিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের ‘প্রচারণা’ দায়ী- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারা আমাকে ভুলভাবে তুলে ধরেছে। একটি ব্যবসায়ী মহল নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে না পেরে বিশ্বব্যাংকের কাছে বেনামি চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করে পদ্মা সেতুর কাজ বিলম্বিত করেছে।”
যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে পদ্মা সেতু নির্মাণে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেছিলেন উল্লেখ করে আবুল হোসেন বলেন, “এ সেতু নির্মাণের সব প্রস্তুতি শেষ করেছিলাম। প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এখন মূল সেতুর কাজ বাকি।”
শিগগিরই জটিলতা কেটে গিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।