সুইজারল্যান্ডের অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জানিয়ে সুইস দূতাবাস বলেছে, একে বাস্তবে রূপ দিতে বিনিয়োগবান্ধব ব্যবসা উপযোগী পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
শুক্রবার ঢাকায় সুইস দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার ব্যবসার সুযোগকে এখনো ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়নি এবং এক্ষেত্রে বেশ কিছু ‘প্রতিন্ধকতা’ রয়েছে।
এ প্রতিবন্ধকতাগুলো মূলত বিনিয়োগকেন্দ্রিক উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “সুইস কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের সুইস কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়। একটি বিনিয়োগবান্ধব ব্যবসায়ী পরিবেশ এ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে তাদের উৎসাহিত করবে।”
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৩০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
“২০১১ সালে সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বাণিজ্য হয়েছে যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে নতুন রেকর্ড।”
২০১০ সালের তুলনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে সুইস দূতাবাস জানায়।
২০১১ সালে বাংলাদেশ ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করার বিপরীতে সেখান থেকে আমদানি করেছে ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার।
সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, জুতা ও টেক্সটাইল। এছাড়া এবার বৈদ্যুতিক ও শিল্প ক্ষেত্রের যন্ত্রাংশের মতো কিছু নতুন পণ্যের রপ্তানিও উল্লেখযোগ্য।
অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড থেকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও মেশিনারি আমদানি করেছে বাংলাদেশ এবং ২০১০ সালের চেয়ে ২০১১ সালে তার পরিমাণ দ্বিগুন হয়েছে। সুইজারল্যান্ড থেকে পণ্য আমদানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।