মিশরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্রাদারহুড ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষে অন্তত ১৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। শুক্রবার দেশব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলার সময় তাদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ১২২ বিক্ষোভকারীকে আটক করে। সামরিক শাসনের অবসান ও নয়া সংবিধানে বিরোধীদলগুলোর মতামতের প্রতিফল ঘটানোর দাবিতে জুমার নামাজের পর সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দেয় মুরসি সমর্থক ও ব্রাদারহুড কর্মীরা।
এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি এবং টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। রাজধানী কায়রোর পাশাপাশি আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েজ, ইসমাইলিয়া ও ফাইয়ুম শহরে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আসিউত ও সিনাই অঞ্চলেও সংঘর্ষ হয়েছে তবে সেসব এলাকায় কেউ নিহত হয়নি।
২০১২ সালের জুলাই মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মিশরে যে বিক্ষোভ শুরু হয় সম্প্রতি নতুন সংবিধান প্রণয়ন নিয়ে তা আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। যে দলটি এক বছর আগেও দেশটির ক্ষমতায় ছিল নয়া সংবিধানে তাদের মতামতের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। নতুন সংবিধানে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের শাসনামলের মতো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এ সংবিধানের ওপর গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে।