মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট, মানুষ হত্যা করে আন্দোলন হয় না। আর এটা কোনো রাজনৈতিক দলের আন্দোলন হতে পারে না। এসব জ্বালাও পোড়াও করে সন্ত্রাসী সংগঠন।’
২০১৯ সালের আগে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা বা সমঝোতা হবে না। যা হবে এর পরেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। আজ শনিবার দুপুরে আওয়ামী সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত হরতালবিরোধী এক সমাবেশে মায়া এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলেছেন, তাহলে আপনি কীভাবে ২০১৯-এর আগে কোনো সমঝোতা না হওয়ার কথা বল্লেন? সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘কে কী বলল, সেটা ভেবে আমি কথা বলিনি। নির্বাচন প্রতি পাঁচ বছর অন্তর হয়। আমি সেটা ভেবে এই কথা বলেছি।’
সমাবেশে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার কোনো শক্তি নেই। যতই চেষ্টা করুন না কেন, নির্বাচন হবেই। এতে কোনো সন্দেহ নেই, মানুষ ভোটকেন্দ্রেও যাবে, ভোটও দেবে।’
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে কামরুল বলেন, ‘আপনার শুভবুদ্ধির উদয় হলে ভবিষ্যতে সংবিধান অনুসারে সমঝোতা হতে পারে। ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে নয়, গণতন্ত্রকে রক্ষার করার জন্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা হচ্ছে। দেশের মানুষ আর তৃতীয় শক্তি দেখতে চায় না। খালেদা জিয়া নির্বাচন বানচালের যতই চেষ্টা করুক, নির্বাচন হবেই।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক, দপ্তর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম প্রমুখ।