সুদান ও দ. সুদানের মধ্যে শান্তিচুক্তি

সুদান ও দ. সুদানের মধ্যে শান্তিচুক্তি

একে অপরকে আক্রমন না করার শর্তে সুদান এবং দক্ষিণ সুদানের মধ্যে এক শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকি বলেন, দুই পক্ষই চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। একে অপরের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং আঞ্চলিক সম্প্রীতি বাড়াতে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

গত বছরের জুলাই মাসে দীর্ঘ সংঘাতের পর সুদান ভেঙ্গে দক্ষিণ সুদান নামে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু দেশ ভাগ পরবর্তীতেও বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যার কারণে তেল উৎপাদন বন্ধসহ দুই দেশেরই জাতীয় অর্থনীতিতে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়।

২০০৫ সালে সুদানে এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। গৃহযুদ্ধে কম করে হলেও ১৫ লাখ মানুষ মারা যায়।

দক্ষিণ সুদান ট্রানজিট ফি হিসেবে উত্তর সুদানকে কি পরিমান অর্থ দেবে তা নিয়ে কখনই সম্মত হয়নি এই দুই পক্ষ। এছাড়াও সীমান্ত এলাকায় মিলিশিয়া গ্রুপের উপস্থিতি নিয়েও একে অপরকে দোষারোপ করছে তারা।

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সফল বৈঠকের পর এমবেকি আরও বলেন, উভয় পক্ষই একে অপরকে আক্রমন করবে না এই শর্তে একমত হয়েছে।

এর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন দুই দেশের মধ্যকার শান্তি আলোচনা বিলম্ব হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

তেল উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগে দক্ষিণ সুদান তেল চুরির জন্য অভিযুক্ত করে সুদানকে। তাদের দাবি অনুযায়ী সুদান তাদের কাছ থেকে ৮১৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের তেল চুরি করে নিয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তেল উৎপাদন বন্ধের কারণে দুই দেশেই অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়। জুবার ৯৮ শতাংশ বাজেট নির্ভরকরে তেলের ওপর। অন্যদিকে খার্তুমের হলো ৩৬ শতাংশ।

তেল সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে শনিবার আবারও আলোচনার কথা রয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধি পর্যায়ে।

আন্তর্জাতিক