দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের গাড়ির বহর লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা দুটি ককটেল ছোড়ে। রাজশাহীর চারঘাটে আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পথসভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এতে কেউ আহত হয়নি।
ঘটনার পর নাসিম রাজশাহী-৬ আসনের দলীয় প্রার্থী শাহরিয়ার আলমের নির্বাচনী পথসভায় যোগ দেন। তিনি কর্মীদের ভোট চাইতে প্রয়োজনে জামায়াত-বিএনপির কাছে যেতে বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী থেকে চারঘাট যাওয়ার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাসিমের গাড়িবহর সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পাশে পৌঁছালে রাস্তার উত্তর দিক থেকে একটি ককটেল ছোড়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর গাড়িবহরটি সারদা পাইলট স্কুলের সামনে পৌঁছালে আরও একটি ককটেল ছোড়া হয়। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এ ব্যাপারে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার গোলাম মোর্তুজা বলেন, গাড়ির বহর প্রায় পার হওয়ার পর হামলা হয়েছে। এতে কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। দোকানের পেছন থেকে কারা হামলা করেছে, তা শনাক্ত করা যায়নি।
চারঘাটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত পথসভায় মোহাম্মদ নাসিম বক্তব্য দেন। তিনি তাঁর গাড়ির বহরে ককটেল হামলার ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। এই আসনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সাংসদ রায়হেনুল হক। তাঁর উদ্দেশে নাসিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভোট নিতে হলে নৌকার মালিক হতে হবে।’ ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখনো যাঁরা অভিমান করে নৌকার বাইরে রয়েছেন, তাঁরা আজকের মধ্যে নৌকায় আসবেন। ৫ তারিখের পরে আসতে চাইলে নৌকায় আর আপনাদের নেওয়া হবে না। আজকের মধ্যে আসলে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’
ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, ‘প্রয়োজনে আপনারা বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের কাছে যাবেন। তাঁদের বোঝাবেন, বিএনপির নেত্রী ভুল করেছেন। ইচ্ছা থাকলেও তিনি জামায়াতের কারণে নির্বাচনে আসতে পারেননি। আপনারা ভোট না দিয়ে আরেকটি ভুল করবেন না। যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন শাহরিয়ার আলম। এলাকার উন্নয়নের জন্য তাঁকে ভোট দিন। নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন। কেউ আপনাদের কিছু বলতে পারবে না।’
এ সময় মঞ্চে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংসদ শাহরিয়ার আলম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।