বয়স তো শুধু একটি সংখ্যা, পারফরম্যান্সই আসল। বুড়োদের কাতারে পা দেওয়ার সময় থেকেই অনেক ক্রিকেটারের মুখের বুলি থাকে এটা। তবে সত্যিই যখন পারফরম্যান্স কথা বলে, তখন মুখে বলতে হয় না আর কিছুই। পাকিস্তানের বুড়োরা যেমন কথা বলছেন পারফরম্যান্সেই!
টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম ৩৬ বছরের বেশি বয়সী তিন খেলোয়াড়কে নিয়ে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। তাঁদের একজন তো সম্ভবত এই মুহূর্তে বিশ্বসেরা স্পিনার। পেসারদের দাপটেও প্রথম দিনে ঠিকই গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন সাঈদ আজমল। বাকি দুজনের হয়ে নিয়মিতই কথা বলছে তাঁদের ব্যাট। যেমন বলল কালও!
এমনিতেই দলের বড় ভরসা দুজন। তবে শ্রীলঙ্কাকে সামনে পেলে ইউনিস খান ও মিসবাহ-উল-হক জুটি যেন আরও শক্ত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ দুবার যখন জুটি বেঁধেছিলেন দুজন, গড়েছিলেন ১৩০ ও ১০০ রানের জুটি। কাল শুধু ‘হ্যাটট্রিক’ করেই থামলেন না দুজন, শতরান ছাড়িয়ে জুটিকে রূপ দিলেন দ্বিশতকে। প্রথম দিনেই হাতে চলে আসা ম্যাচের লাগাম তাতে আরও শক্ত করেছে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে পাকিস্তানের লিড ১২৩ রানের। ২৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি করে ফিরে গেছেন ইউনিস খান। তবে পঞ্চম সেঞ্চুরি করে মিসবাহ ফিরেছেন দিনের খেলা শেষ করেই। শফিক-আকমল-ভাট্টিদের সঙ্গী করে অধিনায়ক আজ লিডটাকে নিয়ে যেতে চাইবেন শ্রীলঙ্কার ধরাছোঁয়ার বাইরে। পাকিস্তান নিশ্চয়ই চাইবে একবারই ব্যাট করতে।
পাকিস্তানের হয়ে ইউনিস এখন শুধু টেস্টেই সুযোগ পাচ্ছেন। অনেক দিন পর পর এসেই পারফর্ম করা সহজ নয়। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তবু ঠিকই চেনাচ্ছেন নিজের জাত। ২৩ সেঞ্চুরিতে কাল ছুঁলেন পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা বিবেচিত জাভেদ মিয়াঁদাদকে। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ ইউসুফ (২৪) ও ইনজামাম-উল-হকই (২৫) কেবল আছেন ওপরে। মিসবাহ গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন ১৯৪৩ রান। সেই ফর্মকে ধরে রাখার ইঙ্গিত দিলেন নতুন বছরের প্রথম দিনেই। কাল প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল পাকিস্তান। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ২১৮ রানের জুটিতে শ্রীলঙ্কাই উল্টো ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার জোগাড়। ওয়েবসাইট।
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২০৪
পাকিস্তান ১ম ইনিংস
(১ম দিন শেষে, ৪৬/১; শেহজাদ ২৫*)
রান বল ৪ ৬
শেহজাদ ক করুনারত্নে ব ইরাঙ্গা ৩৮ ৮৩ ৩ ০
হাফিজ ক সিলভা ব লাকমল ১১ ১৮ ২ ০
ইউনিস ব ইরাঙ্গা ১৩৬ ১৯৮ ১৯ ১
মিসবাহ ব্যাটিং ১০৫ ২৫০ ১৩ ০
শফিক ব্যাটিং ১২ ৫০ ২ ০
অতিরিক্ত (লেবা ১, ও ১, নো ২) ৪
মোট (১০৯ ওভারে, ৪ উইকেটে) ৩২৭
উইকেট পতন: ১-৪৬, ২-৫৯, ৩-৮৩, ৪-৩০১।
বোলিং: লাকমল ২৭-৭-৮৪-১ (নো ২, ও ১), ম্যাথুস ৯-০-৩৬-০, ইরাঙ্গা ২৪-৫-৬৩-২, হেরাথ ৩১-৯-৭৭-০, সেনানায়েকে ১৮-২-৬৬-০।