পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধে করনীয় নির্ধারণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরি সভাপতি ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গে বৈঠক করবে সংসদীয় উপ-কমিটি।
একই সঙ্গে শ্রম আইনের ১৭৬ ধারার পর্যালোচনাও করবে কমিটি। শ্রম আইনের এ ধারাটি ট্রেড ইউনিয়ন ও শিল্প সম্পর্ক সংক্রান্ত একটি ধারা।
রোববার সংসদ ভবনের ২ নম্বর স্থায়ী কমিটি কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধে একটি সুপারিশমালা তৈরি করতে শ্রম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অধীনে এই উপ-কমিটি কাজ করছে।
স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের এই কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রওশন জাহান সাথী ও শহীদুজ্জামান সরকার।
ইসরাফিল আলমের একান্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওইদিন খন্দকার এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক (মালিক) সমিতি ও রায় রমেশ চন্দ্রের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবে সংসদীয় কমিটি।
কমিটি এরই মধ্যে বাংলাদেশ ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ফেড়ারেশন, বিপ্লবী শ্রমিক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন, সংযুক্ত ট্রাক বন্দোবস্তকারী পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ট্যাক্সিক্যাব-মাইক্রোবাস চালক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
এদিকে, গত ১৩ অক্টোবর কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক নেতা হিসেবে শাজাহান খানের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
সংসদীয় কমিটি চাঁদাবজি বন্ধে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের আশংকাও করছে।
ইসরাফিল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘যে কাজে হাত দিয়েছি তাতে নিজের দলের অনেকের সঙ্গেই সমস্য তৈরি হচ্ছে। তারেপরেও কমিটির কাজ সুপারিশ দেওয়া, আমরা সেটা করবো। বাস্তবায়ন করবে সরকার।’
কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে পরিবহন সেক্টরে অবৈধ চাঁদাবাজির জন্য পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা, মালিকসহ অবৈধ শ্রমিক সংগঠনগুলোকে দায়ী করেছিলন পরিবহন শ্রমিক নেতারা। পরে সংসদীয় কমিটিও তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করে।
ওই বৈঠকে মালিক সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা বৈঠকে আসেননি।