২০১৩সাল রীতিমতো ভুগিয়েছে মেসিকে। চোটে চোটে একদিন আগে শেষ হওয়া পুরনো বছরটার বেশিরভাগ সময়ই তাকে থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। নতুন বছরে তাই মেসির একটাই প্রার্থনা- আর কোন চোট নয়। তাই ২০১৪-তে পা রাখার মুহূর্তে আর্জেন্টাইন এ তারকা সবার সামনে বললেন, ‘নতুন বছরে ব্যক্তিগতভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসই চাওয়ার আছে। পাওয়ার সুযোগও আছে। একজন খেলোয়াড় হিসাবে আমি সবার আগে চাইব ২০১৪ সালটা যেন চোটমুক্ত থাকতে পারি।’
সাম্প্রতিক সময়ের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি কার্যত পাকা করে ফেলেছেন লিওনেল মেসি। টানা চারবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তবু ২০১৪ আর্জেন্টাইন মহাতারকার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর হয়ে হাজির। নতুন বছরেই তার সামনে সবচেয়ে মহার্ঘ্য ট্রফিটি ছোঁয়ার হাতছানি! বিশ্বকাপ। ব্রাজিলে শেষপর্যন্ত কাপটা জিততে পারলে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় সুনিশ্চিত হয়ে যাবে তাঁর আসন।
গেল বছরটা মোটেই সুখকর ছিল না ফিফা সেরার। স্পেনের আয়কর দপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়েছেন, বিশাল অঙ্কের জরিমানা গুনেছেন, বছরের শেষলগ্নে বার্সেলোনার প্রথম সারির কর্তার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন, চোটে চোটে ফিজিওথেরাপিষ্টকেই সবচেয়ে কাছের বন্ধু করতে হয়েছে। অন্য সবকিছু মোকাবেলা করতে প্রস্তুত মেসি শুধু পড়তে চান না ইনজুরিতে।
নতুন বছরের শুরুতেই মাঠে ফিরবেন বলে আশা করছেন মেসি। বছরের প্রথম দিনটা পরিবার, বন্ধু ও স্বজনদের সময় দিয়ে ২ জানুয়ারি বার্সেলোনায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৫ই জানুয়ারি এলচের বিরুদ্ধে লা-লিগার ম্যাচে মাঠে নামার পরিকল্পনা রয়েছে মেসির।