জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুক্রবার

জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুক্রবার

আগামী ৩রা জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল নির্বাচন কমিশনে বৈঠক শেষে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এইচ টি ইমাম বলেন, ৩রা জানুয়ারি নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রতিবারই ইসি দলগুলোকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সুযোগ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও নির্বাচনে অংশ নেয়া ১২টি দলের প্রধান বা তাদের প্রতিনিধি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তবে কখন কোন দল বা দলের প্রতিনিধি ভাষণ দেবেন সেই বিষয়টি নির্ধারণ করছে বিটিভি।

৫ই জানুয়ারির নির্বাচন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বলেছেন, আপনাদের দেয়া ভোটে বিজয়ী হয়ে নির্বাচনের পর সজীব ওয়াজেদ জয়কে সেবা করার জন্য আপনাদের মাঝে দেবো। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সংবিধান ও গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে ৫ই জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন সফল করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিরোধী দলের নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ নির্বাচন বানচাল করতে জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে মেতে উঠেছেন। নৃশংস ভাবে হত্যা করছে দেশের মানুষজনকে। বিএনপি-জামায়াত জোট একের পর এক হরতাল-অবরোধ দিয়ে গরিবের পেটে লাথি মারছে। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে চলেছে। গাছ কেটে রাস্তায় রেখে মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলেছে। খালেদা জিয়া গরিবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশপীর তরফমৌজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণা পথসভায় এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানযোগে ১টা ২৫ মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন। তিনি সৈয়দপুর থেকে সড়কপথে রংপুর সার্কিট হাউসে আধাঘণ্টা অবস্থান করে আবার সড়কপথে পীরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। তার আগমনে রাস্তার দু’ধারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে রংপর-৬ পীরগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচন করে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছিলাম। সেই নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলাম ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে আজ বাধার মুখে পড়েছি। বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছেন। তিনি বলেন, ৫ বছরে রংপুরে মঙ্গা বিদায় করেছি। রংপুরকে বিভাগ করার পর যেসব ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রয়োজন ছিল তা সব করেছি। আগামীতে ক্ষমতায় আসলে শিক্ষাক্ষেত্রে ডিগ্রি পর্যন্ত মেয়েদের যেমন বৃত্তি দিচ্ছি- ছেলেদের জন্যও তেমন ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাদের জমি-বাড়ি নেই তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। দেশে কোন কুঁড়েঘর থাকবে না। বর্গাচাষিদের ঋণ দিয়ে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানো হবে। টুকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা এড. ফজলে রাব্বি এমপি, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. রেজাউল করিম রাজু প্রমুখ।
সভা শেষে শেখ হাসিনা লালদিঘীর ফতেহপুরে শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

অন্যান্য জেলা সংবাদ বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর