সাকিবের  কাছে তামিমের হার

সাকিবের কাছে তামিমের হার

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালটা যতটা উত্তেজনার রেণু ছড়াবে বলে আশা করা হয়েছিল, ততটা ছড়াল না! বরং ‘একপেশে’ই খেলা হয়েছে বলা যায়! তামিমের ইউসিবি-বিসিবি একাদশকে হেসে খেলেই হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের প্রাইম ব্যাংক! ২২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্টের শেষ হাসি তাই সাকিব বাহিনীর ঠোঁটে। ইউসিবিকে হারিয়েছে তারা ৫৫ রানে।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের শুরুটা বেশ ভালো হয়। ৭ দশমিক ৩ ওভারে বিনা উইকেটে তোলে ৫৯ রান। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হলেও ফাইনালে হেসে ওঠে প্রাইম ব্যাংকের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসের ব্যাট। আরাফাত সানির বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৬২ রান। মূলত তার অসাধারণ অর্ধশতকে নির্ধারিত ২০ ওভারে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৪। ১৭৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে গত ম্যাচে শতক হাঁকানো ইউসিবি অধিনায়ক তামিম শুরুতেই হারিয়ে ফেলেন পথ। মাত্র ২ রান করেই সোহাগ গাজীর শিকার তিনি। তামিম ফিরে যাওয়ার পরে রনি তালুকদার ও ইমরুল কায়েস ইউসিবিকে খানিকটা স্বপ্ন দেখালেও তা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট ১১৯ রানেই থেমে যায় ইউসিবির ইনিংস। ফলে ৫৫ রানের পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয় তামিমের দল।

এর আগে টুর্নামেন্টে অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান প্রাইম ব্যাংকের এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট আজও হেসে ওঠার ইঙ্গিত দিলেও ইউসিবির মুক্তার আলী তাঁর বড় ইনিংসের স্বপ্ন ধূলিসাত্ করে দেন। মুক্তারের বলে বোল্ড হয়ে এনামুল ফেরেন ২৭ রানে। ব্যাট হাতে অবশ্য সাকিব আজ খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। আল আমিনের শিকার হওয়ার আগে করেছেন মাত্র ১৪ রান। শেষমেশ ২০ ওভারে সাকিবদের সংগ্রহ ১৭৪ রান। ইউসিবির সবচেয়ে সফল আল আমিন। নিয়েছেন ৩টি উইকেট।

মূলত কিপ্টে বোলিং ও অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের কারণেই বিজয়ের হাসি হেসেছে প্রাইম ব্যাংক। বিশেষ করে তাইজুলের বলে বাউন্ডারির কাছে ঝাঁপিয়ে মুক্তার আলীর যে ক্যাচটি তালুবন্দী করলেন রুবেল, সেটি চোখে লেগে থাকবে বহুদিন। প্রাইম ব্যাংকের তাইজুল নিয়েছেন দুটি; সাকিব, সোহাগ গাজী, রুবেল, শরিফ, সাব্বির প্রত্যেকে পেয়েছেন ১টি করে উইকেট। ইউসিবির পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস রনি তালুকদারের, করেছেন ৩২ রান। ম্যাচ সেরা রুবেল হোসেন। আর টুর্নামেন্ট সেরা এনামুল হক বিজয়।

খেলাধূলা