বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো গুলশানে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বাড়ি ঘিরে রেখেছে ১০ প্লাটুন পুলিশ।
গতকালের মতো আজও তাঁর বাড়ির পূর্ব পাশের গলিতে আড়াআড়িভাবে বালুভর্তি ট্রাক রাখা আছে। সেখানে জলকামানও রাখা আছে। পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের তত্পরতা দেখতে পাওয়া গেছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। আজও খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের হতে বাধা দেওয়া হবে কি না, এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলছেন না।
খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে কত দিন বালুভর্তি ট্রাক এভাবে থাকবে, জানতে চাইলে চালক জসিম বলেন, যত দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ থাকবে, তত দিন এখানে থাকতে হবে।
বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে গুলশান ২ নম্বর থেকে খালেদা জিয়ার বাড়ি পর্যন্ত আসতে দেখা যায়নি।
গতকাল পুলিশের বাধার মুখে এক ঘণ্টা চেষ্টা করেও গুলশানের বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’য় যোগ দিতে বেলা তিনটার পর গুলশানের বাসভবন থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন খালেদা জিয়া। সকাল থেকে বাড়ির মূল ফটকের সামনে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।
খালেদা জিয়ার গাড়ি বাড়ির মূল ফটকে আসতেই তা আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রায় আধা ঘণ্টা গাড়িতে অপেক্ষা করে নেমে আসেন খালেদা জিয়া। কিন্তু হেঁটেও তাঁকে এগোতে দেওয়া হয়নি। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের বকাঝকা করেন, সরকারের বিরুদ্ধেও নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন। বাড়ির মূল ফটকের সামনে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বিকেল চারটার দিকে বাড়ির ভেতরে আঙিনায় চলে যান তিনি। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় মূল ফটক। বাড়ির আঙিনায় জাতীয় পতাকা হাতে কিছুক্ষণ বসেন খালেদা জিয়া। এ সময় তাঁর বাড়ির দেয়াল টপকে কয়েকজন সাংবাদিক ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা। সোয়া চারটার দিকে আবার বাসায় ঢুকে যান বিরোধীদলীয় নেতা। শনিবার রাত থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পথ বালুভর্তি তিনটি ট্রাক ও পূর্ব পাশের গলিতে দুটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।