গত ২৩ ডিসেম্বর পত্রিকায় ‘ছি ছি, ওসি’ শিরোনামে প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওসি মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে ওঠা জমি ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে বগুড়া থেকে তাঁকে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়।
জমি ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ ওঠা বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শাজাহানপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে তাঁকে বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক আজ সোমবার বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আজই আমরা আদেশ পেয়েছি। ওসি মাহমুদুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁর স্থলে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজার রায় ঘোষণার পর ‘চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে’—এমন গুজব ছড়িয়ে গত ৩ মার্চ বগুড়ার শাজাহানপুর থানা ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশের হামলায় চারজন নিহত হন। এসব ঘটনায় দায়ের করা চারটি মামলার মধ্যে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি জামায়াত নেতা শাজাহানপুর উপজেলার চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলীর কাছ থেকে পাঁচ শতক জমি নিয়েছেন ওসি। জমিটির দলিল করা হয়েছে ওসির দুই ভাইয়ের নামে।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে এমন বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ইয়াছিন আলীর কাছ থেকে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ৩৫ লাখ টাকা দামের পাঁচ শতক জমি ‘ঘুষ’ হিসেবে নেন ওসি মাহমুদুল আলম। জমির দলিল করা হয়েছে ওসির দুই ভাই মাহবুবুর রহমান ও শাহিন রেজার নামে। তাঁদের বাড়ি সিরাজগঞ্জে।