কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াইয়ের আশা করেছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ফখরুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় লড়াইটা মাঠে গড়ায়নি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান।
জানা গেছে, ভৈরব-কুলিয়ারচর উপজেলা নিয়ে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন। এই আসন থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত মো. জিল্লুর রহমান ছয়বার সাংসদ নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আসনটি শূন্য হলে উপনির্বাচনে তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান সাংসদ হন। তবে পৌর মেয়র এবং সংসদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন চেয়ে না পাওয়ার কারণে জিল্লুর রহমান-বলয় থেকে ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। দলীয় সমর্থন না পেয়েও ফখরুল টানা দুবার ভৈরবের মেয়র নির্বাচিত হন। সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। এর পর থেকে ফখরুল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যক্তিগত প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাঁকে ঘিরে দলের নেতা-কর্মীদের একটি অংশের বলয়ের সৃষ্টি হয়। তখন থেকে এই আসনটিতে লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ফখরুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
ফখরুল আলমের সক্রিয় কর্মী আশরাফুল হক বলেন, ‘মহাজোট প্রার্থী জনবিচ্ছিন্ন। তা ছাড়া সারা দেশে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আর আমাদের প্রার্থীর ব্যক্তিগত প্রচারণা ও অর্জন অনেক। ভোট হলে ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ত।’
নাজমুলের সমর্থক কুলিয়ারচর উপজেলার রামদি গ্রামের শামিম মিয়া বলেন, ‘আমাদের নৌকায় ইঞ্জিন লাগানো। স্টার্ট দেওয়ামাত্র গাঙ পার। আর ঢেউয়ে ডুইবা মরত প্রতিদ্বন্দ্বী।’ ফখরুলের সমর্থক ভৈরব শহরের চণ্ডীবের দক্ষিণপারের ইমরান হোসাইন বলেন, ‘৫০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ের সুযোগ হারালাম। ওই আফসোসে এখন ঠিকমতো ঘুম হয় না।’ প্রতিপক্ষের মন্তব্য শুনে ইমরান জানান, আসলে মহজোট প্রার্থীর সমর্থকদের কথাগুলো অন্তরের নয়, মুখের। তাঁরা জানেন, ভোট হলে কী হতো।