আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি আগামীকাল যদি জাতীয় পতাকার অবমাননা করেন, তাহলে আপনার খবর আছে! আপনার ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।’ আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভায় মায়া এ কথা বলেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মায়া বলেন, ‘ঢাকায় ঢোকার আটটি পয়েন্ট দিয়ে আগামীকাল যেন কোনো মাছিও না আসতে পারে। যদি এই পথ দিয়ে কোনো শয়তান ঢোকে, তাহলে যেসব নেতা-কর্মী দায়িত্ব থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওইসব কমিটি বিলুপ্ত করা হবে। আর যারা ভালো কাজ করবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে।’ একই সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির গণতন্ত্রের অভিযাত্রা গণতন্ত্রের সঙ্গে হাস্যকর রসিকতা। আমরা কাল রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে ঢাকার সব পথে পাহারায় থাকব। আর নাশকতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে কঠোর অবস্থানে।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা গায়ে পড়ে উসকানি দেবেন না। যদি জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়, তাহলে বসে থাকবেন না।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। প্রথমে তারা ভুল করেছে সংবিধান সংশোধন কমিটিতে না এসে। দ্বিতীয় ভুল করেছে প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপে সাড়া না দিয়ে।’ দেশ পরিচালনায় ভুলত্রুটি থাকতে পারে মন্তব্য করে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ-নাশকতা প্রতিরোধে এই নির্বাচন আমাদেরকে করতেই হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী নির্বাচনের পর বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ ও সমঝোতা হলে আরেকটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে।’ তাই নাশকতা বন্ধ করে দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংলাপ ও সমঝোতার উদ্যোগ নিতে তিনি বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, থাইল্যান্ড ও ইউক্রেনে সরকারবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে। সেখানে জনগণই মূল শক্তি। তাঁরা কোনো নাশকতা করছে না। তিনি নাশকতা বন্ধে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান। বিএনপির গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচির প্রতিবাদে আজ বেলা তিনটায় ঢাকার ১০০টি ওয়ার্ড ও ১৮টি ইউনিটে জাতীয় পতাকা মিছিল করবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।