গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ শুক্রবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৮৬ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
আজ শুক্রবার ইউএনবির এক খবরে বলা হয়, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ ভোর ছয়টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১২৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীও আছে। মিরপুর, দারুস সালাম, রূপনগর, কাফরুল ও পল্লবী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। শুধু পল্লবী এলাকা থেকেই ৫১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার মো. কামাল।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হবে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কিছু তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে। তিনি জানান, কাফরুল থেকে অস্ত্র, মিরপুর এলাকা থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও ব্যানার পাওয়া গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল আটক হওয়া এসব ব্যক্তির।
এদিকে এই অভিযানে ভোলা থেকে বিরোধী দলের ২৯ জন, জয়পুরহাটে ১৪ জন, সিরাজগঞ্জে ২৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৮ জন, চাঁদপুরে ১৭ জন, লক্ষ্মীপুরে চারজন, চট্টগ্রামে ১২ জন, খুলনায় ২৩ জন, সাভারে সাতজন, সাতক্ষীরায় তিনজন, সিলেটে দুজন এবং গাজীপুর, মৌলভীবাজার ও শরীয়তপুরে একজন করে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
গত বুধবার রাত ১২টা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে পোশাকধারী পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন।