খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার নখের যোগ্যও নন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে হুমকি প্রদানের প্রতিবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আচার-আচরণ, দেশপ্রেম, শিক্ষায়, জ্ঞানে কোনো দিক থেকেই খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনার সঙ্গে তুলনা করা যায় না। খালেদা জিয়া দেশবিরোধী কাজে ব্যস্ত থাকেন এবং যুদ্ধাপরাধী ও দেশবিরোধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন। এজন্য বিএনপি জনগণের সমর্থনও পায় না।
এসব কারণেই তারা (বিএনপি) গাড়িবাহিত মহড়া দিতে পারলেও জনগণের দাবি আদায়ে লংমার্চ করতে পারেনি।’
নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যারা নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্য তাদেরকেই প্রধান ও নির্বাচন কমিশার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সার্চ কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তারাও নিরপেক্ষ। তাদেরকেও সাংবিধানিকভাবে নিরপেক্ষ পদ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
‘তাছাড়া এবারই প্রথম সাংবিধানিক ক্ষমতা থাকা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করেননি।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালুর দাবি প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, ‘এটা একটা অবান্তর দাবি। জাতীয় নির্বাচন হতে এখনো দুই বছর বাকি। দুই বছর পর এই বিষয়ে ভাবা যাবে। এই দীর্ঘ সময় তো নির্বাচন কমিশন খালি রাখা যায় না।’
জয়নাল আবদীন ফারুক সম্পর্কে মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘জয়নাল আবদীন ফারুক পাতিনেতা। তিনি ভীরু, কাপুরুষ। সেজন্য পুলিশের লাঠি-পেটা খেয়ে খেকশিয়ালের মত দৌঁড়ে পালিয়েছিলেন। জয়নাল আবদীন ফারুকের কথার জবাব দিয়ে তার গুরুত্ব বাড়াতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। এটা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ছিল।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।