আজ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসব বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে। খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট দুই হাজারেরও বেশি বছর আগে এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন।
এবারের বড়দিন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব গির্জা ও বড় বড় হোটেল নতুন সাজে সেজেছে। রাজধানীর ফার্মগেটের চার্চে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, মোহাম্মদপুর খ্রিস্টিনা চার্চ ও সেন্ট যোশেফ চার্চে ব্যাপক আয়োজনে পালিত হচ্ছে আজকের দিনটি। সকাল থেকে খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা ভীড় করছেন চার্চগুলোতে। এ ছাড়া অনেক বাড়িঘরও রঙিন হয়ে উঠেছে আলোকসজ্জায়। এদিন ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয় বর্ণিলভাবে। বিশেষ উপাসনার পাশাপাশি কেক কাটা, অতিথি আপ্যায়ন, শুভেচ্ছা কার্ড বিনিময় ইত্যাদিসহ আরো নানা আয়োজনে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে বড়দিন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এ উৎসবে শামিল হয় অন্য ধর্মের মানুষরাও।
বড়দিন উপলক্ষে দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। তাঁরা দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে এবং মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ‘আবহমান কাল থেকে এ দেশের মানুষ ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বাংলাদেশে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীগণ শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে যে ভূমিকা রাখছে, তা প্রশংসার দাবিদার।’ সুখী-সমৃদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে রয়েছে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা। আমি আশা করি, বড়দিন দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরো সুদৃঢ় করবে।’
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানবকল্যাণ। যুগে যুগে মহামানবগণ মানুষের সৎ পথে চলার দিশারি হয়েছিলেন। মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন ন্যায় ও কল্যাণের পথে চলতে। মহান যিশু খ্রিস্টও একইভাবে তাঁদের অনুসারীদের সৎকর্ম ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করে গেছেন।’