হাসিনা-খালেদার সাহায্য চাইবে বিসিবি

হাসিনা-খালেদার সাহায্য চাইবে বিসিবি

সময় যত এগিয়ে আসছে, দুশ্চিন্তা ততই বাড়ছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন। কালো ছায়া পড়বে এশিয়া কাপ এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজের ভবিষ্যতেও। এ অবস্থায় শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারস্থ হতে যাচ্ছে বিসিবি। ক্রিকেটকে সব কর্মসূচির বাইরে রাখার আহ্বান জানাতে এ সপ্তাহেই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা বিসিবির কর্মকর্তাদের।
আগামী ২৪ জানুয়ারি দুই টেস্ট, দুটি টি-টোয়েন্টি এবং তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের। এক মাসের এই সিরিজের পরপরই ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে শুরু হওয়ার কথা এশিয়া কাপ। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য স্পর্শকাতর এই সময়ে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আশা করছে বিসিবি। চলমান সহিংস রাজনীতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দল সিরিজ শেষ না করেই ফিরে গেছে দেশে। এখন এসব সিরিজ আর টুর্নামেন্টও বাংলাদেশ থেকে সরে গেলে সেটার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে এ দেশের ক্রিকেটে।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কেউ উদ্বেগ প্রকাশ না করলেও পরিস্থিতির ওপর চোখ রাখছে আইসিসি, এসিসি থেকে শুরু করে বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায় থাকা সব দেশই। বিসিবি থেকে তাদের এর মধ্যেই বাড়তি নিরাপত্তা পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ড রাজনৈতিক দলগুলোরও সাহায্য চাইবে বলে কাল জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস, ‘সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ, এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে বাংলাদেশে। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমরা আহ্বান জানাব, এই খেলাগুলোর সময় যেন ক্রিকেটকে সব ধরনের কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়। আশা করি, অতীতের মতো এবারও দলমত-নির্বিশেষে সবাই ক্রিকেটের পাশে থাকবেন।’
জালাল ইউনুস কারও নাম না বললেও জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করাই মূল উদ্দেশ্য বিসিবি কর্মকর্তাদের। এর আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও একই আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। বলেছেন, প্রয়োজনে নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সাহায্য চাইবেন।
আগামী ৪ জানুয়ারি কলম্বোতে এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ সভা। বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা সেখানে। বিসিবি চাইছে তার আগেই রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করে ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক সমর্থন আদায় করতে এবং সেই বার্তা বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে দেখা করে ক্রিকেটের সময় দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তাঁদের কাছে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হবে। চিঠির খসড়াও ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। এখন শুধু সাক্ষাতের অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষা।

খেলাধূলা রাজনীতি