আজ কী বলবেন খালেদা জিয়া?

আজ কী বলবেন খালেদা জিয়া?

চলমান রাজনৈতিক সংকট ও সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। গুলশানে তাঁর কার্যালয়ে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র জানায়, সংবাদ সম্মেলনের কী কী বলা যায়, তা নিয়ে খালেদা জিয়া তাঁর দল, জোটের কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং বিএনপি-সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ নিয়েছেন। তবে এসব পরামর্শই চূড়ান্ত নয়।

বিএনপি ও জোটের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজকের সংবাদ সম্মেলনে সমঝোতার মাধ্যমে দশম সংসদ নির্বাচনের জন্য শেষবারের মতো সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতে পারেন বিরোধীদলীয় নেতা। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করে, সংবিধানের মধ্যে থেকে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন করার আহ্বান থাকতে পারে তাঁর বক্তব্যে। দাবি মানতে সরকারকে একটি সংক্ষিপ্ত সময়সীমা দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণাও দেওয়া হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের পক্ষ থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, তার জবাবও থাকবে বিএনপির চেয়ারপারসনের বক্তব্যে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুই দলের সংলাপের বিষয়টি তুলে ধরে সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার জন্য সরকারের ‘একগুঁয়েমি’কে দায়ী করে বক্তব্য রাখতে পারেন খালেদা জিয়া। সেই সঙ্গে বিএনপি সব সময় সংলাপের বিষয়ে আন্তরিক ছিল—এমনটি তুলে ধরার চেষ্টাও থাকতে পারে।

এছাড়া আগামী দিনে ১৮-দলীয় জোটের কর্মসূচি কোন দিকে যাবে, সে সম্পর্কেও বক্তব্য তুলে ধরবেন। নির্বাচন এবং সরকারের কাজে সহযোগিতা না করতে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ জনগণকে পুনরায় আহ্বান ও সেনাবাহিনীকে জনগণের মতের বিপক্ষে না দাঁড়ানোর জন্যও বলবেন তিনি। ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন প্রতিহতের ডাকও থাকতে পারে তাঁর বক্তব্যে।

আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। নির্বাচন প্রতিহত করতে ভোটের দিন গণকারফিউ দেওয়া হতে পারে। বিএনপির এক নেতা বলেছেন, গণকারফিউ হলো জনগণ ভোটের দিন ঘরে বসে থাকবে। তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না। এ ছাড়া নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণকে মাঠে নামারও আহ্বান জানাবেন খালেদা জিয়া। গ্রেপ্তার করলেও নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবেন। ওই নেতা বলেন, একে অনেকটা স্বেচ্ছা কারাবরণ বলা যায়।

গত ২৫ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এরপর গত দুই মাসে তিনি নিজের বাসায় দেশি-বিদেশি ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়, সৌজন্যসাক্ষাত্ বা বৈঠক করেছেন। কখনো কখনো গুলশান কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। কিন্তু জনসম্মুখে বা গণমাধ্যমের সামনে তিনি আর হাজির হননি। গত ২১ অক্টোবর তিনি সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলন করেন।

জেলা সংবাদ বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর