ঢাকা-বগুড়া ও বগুড়া-রংপুর মহসড়কে পুলিশের কড়া পাহারার মধ্যেও সোমবার পাঁচটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে পিকেটাররা। এছাড়া শহরের সাতমাথায় বিআরটিসি বাস ডিপোতে পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটণা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।এদিকে সেনা বাহিনীর সদস্যদের মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা করতে দেখো গেছে।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টায় যাত্রীবিহীন বিআরটিসি’র একটি বাস জয়পুরহাটের উদ্দ্যেশ্যে শহরের সাতমাথা বাস ডিপো থেকে বের হয়। বাসটি ডিপো থেকে বের হওয়ার পর একদল দুর্বৃত্ত সেখানে কয়েকটি ককটেল ও পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে। এতে বাসে আগুন ধরে যায় ও এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও বিআরটিসি বাস ডিপোর শ্রমিকদের হস্তক্ষেপে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। আগুন দেওয়ার কারনে বাসটি আর জয়পুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যেতে পারেনি।
এদিকে বগুড়া শহরের মাটিডালি বিমান মোড়ে আটকেপড়া যানবাহন পারাপারে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের। এ সময় সেনা সদস্যরা মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে কাজ করে।
অপরদিকে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বগুড়ার শজাহানপুরের ফটকি ব্রীজ এলাকায় তিনটি ট্রাকে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ভোরে শহরের গোদারপাড়া মোড়ে দুর্বৃত্তরা দুইটি ধান বোঝাই ট্রাকে অগ্নিসযোগ করে। খবর পেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসির সহযোগিতায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। মহাসড়কজুড়ে পুলিশ, আমর্ড পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
বিআরটিসি’র পরিচালক (বগুড়া) শুভাশিষ পোদ্দার লিটন জানান, অবরোধকারীরা ককটেল নিক্ষেপের পর পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়েছে। যাত্রী না থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এর পর পরই বিআরটিসি’র শ্রমিকরা অবরোধকারীদের ধাওয়া করে তাদেরকে প্রতিহত করে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাস জানান, সেনা সদস্যরা অফিসিয়ালভাবে নয়, সাধারণ মানুষের সহযোগিতার জন্য যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা করেছে।