ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কূটনীতিকরা বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে তিনি বলেন, বেশ কয়েক দিন হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের সংসদ ‘মিরপুরের কসাই’ কাদের মোল্লার ফাঁসির শাস্তির নিন্দা প্রস্তাব পাশ করেছে। আমার মা এবং সব বাঙালি এই ধরনের রেজুলেশনে ক্ষুব্ধ এবং এর নিন্দা জানিয়েছেন। তথাপি আমাদের বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া এ বিষয়ে পুরোপুরি নীরব রয়েছেন। তিনি জামায়াতের সহযোগী হয়েছেন দীর্ঘ সময় ধরে এবং তার নীরবতাই বলে দেয় তিনি তাদের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে গিয়ে জামায়াত ও পাকিস্তানের দোসর হয়েছেন। এটা লজ্জাজনক। বাঙালি হিসেবে বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশের পক্ষে এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে কিছুই না বলায় আমি লজ্জিত।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরাও এক্ষেত্রে পক্ষ অবলম্বন করেছেন। তারা আমাদের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অপমানজনক। বিজয় দিবস আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিষয় নয়, এটা আমাদের বাংলাদেশ এবং কষ্টার্জিত স্বাধীনতার বিষয়। একজন বাঙালি হিসেবে আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের ওপর ক্ষুব্ধ। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জনের মাধ্যমে ইইউ পক্ষ নিয়েছে জামায়াতিদের।
তাদের আজকের বিবৃতিতে বোঝা যায়, তারা আবার বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ নিচ্ছে। আমরা বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু জামায়াতকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। জামায়াতের পক্ষ নিয়ে ইইউ এখন দাবি করছে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
লক্ষ্য করুন যে, তারা বলছে না যে ইলেকশন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। তারা তা বলতে পারছে না যে, কারণ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে ৬০০০ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা এজন্য বলতে পারছে না যে, ভোটার তালিকায় এখন আর খালেদা জিয়ার সরকারের আমলের মতো ১ কোটি ৪০ লাখ ভুয়া ভোটার নেই। শুধুই বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি হচ্ছে না, বিদেশীরা নয়। আমাদের বিজয় দিবস বয়কট করে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয়ায় ইইউকে ধিক্কার জানাই।’