মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গতকাল বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ১৯৭১ সালেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিক্সন। তিনি ভারত মহাসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিলেন। আমেরিকা যদি সেদিন তাদের কাজ করতে পারতো, তাহলে আমাদের দেশ অর্জন কঠিন ছিল। কারও দয়ায় আমাদের স্বাধীনতা হয়নি। আমাদের ভয় পেলে চলবে না। আমাদের নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। যার বাবার নেতৃত্বে আমরা এই দেশকে স্বাধীন করেছিলাম। দেশের সবচেয়ে পুরাতন রাজনৈতিক দল আমাদের দল। কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন রয়েছে এই দলের প্রতি। আমরা দেশের কোন শত্রুকে ভয় পাই না। বিদেশের কোন শত্রুকেও ভয় পাই না। গণমাধ্যমের তীব্র সমালোচনা করে আশরাফ বলেন, বস্তুনিষ্ঠতা ঘাটতি থাকায় দেশের সংবাদপত্র শিল্প মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। এখন সংবাদপত্রে অনেকে কলাম লেখেন। তাদের তাপমাত্রা বুঝতে গায়ে হাত দিতে হয় না। কলাম পড়লেই বোঝা যায়। সংবাদ হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ। সংবাদ অনুমান নির্ভর হতে পারে না। এর ফলে আমাদের সংবাদপত্র শিল্প মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য সুখবর নয়। তিনি বলেন, টেলিভিশন চ্যানেলে আরেকটা বিষয় আছে- টকশো। এটা ইংরেজি ‘টক’, না তেঁতুল ‘টক’? শুনলে মনে হয়, এরা শুধু বাংলা নয়, বিশ্ব জয় করে এসেছেন। বাচ্চা হলে কীভাবে পরিচর্যা করতে হবে, কীভাবে গোসল করাতে হবে সেই অনুষ্ঠানে যিনি থাকেন। তিনিই আবার রাজনৈতিক অনুষ্ঠানেও থাকেন। টেলিভিশন চ্যানেল ঘুরালেই এটা দেখা যায়। এ ধরনের গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। স্বাধীন. নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম ছাড়া কোন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। গণতন্ত্র স্থায়ী শিকড় গাড়তে পারে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সমালোচনা করলেও আমেরিকায় বছরে ৪০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।