অনেক কাজ একসঙ্গে করতে গেলে কম্পিউটারের মনিটরে আরও একটু বেশি জায়গা থাকার প্রয়োজনীয়তা বোঝা যায়। কম্পিউটারে বাড়তি আরেকটা মনিটর জুড়ে দিয়ে এই অভাবটা পূরণ করা যায়। তবে ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ কম্পিউটারের জন্য কাজটা একটু আলাদাভাবে করতে হয়।
ডেস্কটপ কম্পিউটার: বেশির ভাগ আধুনিক গ্রাফিকস কার্ডই দুই বা এর বেশি মনিটর সমর্থন করে। এমনকি মাদারবোর্ডের সঙ্গে থাকা (বিল্ট-ইন) অবস্থায় যে গ্রাফিকস কার্ড থাকে, সেটিও দুটি মনিটর সমর্থন করতে পারে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য কম্পিউটারের পেছনে কয়টি ভিডিও পোর্ট আছে তা দেখতে হবে। প্রয়োজনে মাদারবোর্ড বা গ্রাফিকস কার্ডের নির্দেশিকা (ম্যানুয়াল) দেখে নিতে পারেন।
ল্যাপটপ কম্পিউটার: প্রায় প্রতিটা ল্যাপটপের সঙ্গে আলাদা করে ভিজিএ পোর্ট, এইচডিএমআই বা ডিসপ্লে পোর্ট থাকে। এই পোর্টে মনিটরের তার সংযুক্ত করতে হবে। ল্যাপটপের পর্দা (বিল্ট-ইন) তো সচল থাকবেই, পাশের মনিটরেও দেখা যাবে।
কীভাবে করবেন: উইন্ডোজকে বলে দিতে হবে কোন মনিটর কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। ডেস্কটপের খালি জায়গায় ডান ক্লিক করে Screen resolution নির্বাচন করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে, সেটির ডান পাশে ওপরে Detect-এ ক্লিক করলে নতুন মনিটরটি সংযুক্ত হবে। এবার Multiple displays মেনু থেকে Extend these displays নির্বাচন করতে হবে।
একটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, কোন মনিটর ডানে আর কোনটি বাঁয়ে সেটি নির্বাচন করা যাবে তা এই উইন্ডোর ওপরের দিকের দুটি মনিটর আইকনের একটিকে মাউস ধরে টেনে (ড্র্যাগ) বাঁয়ে বা ডানে সরিয়ে দিয়ে। আর যে মনিটরে টাস্কবার আর স্টার্ট বাটন রাখতে চান, সেটি নির্বাচন করতে হলে ওপরের এক নম্বর বা দুই নম্বর মনিটরটি ক্লিক করে নিচের Make this my main display-এ টিক দিয়ে ওকে করুন। অপশনটি ঝাপসা থাকলে বুঝতে হবে ইতিমধ্যে সেটি প্রধান মনিটর হিসেবে নির্বাচন করা আছে। এবার খুলে রাখা কোনো ফাইল বা উইন্ডো প্রথম মনিটরটি থেকে মাউস দিয়ে টেনে ধরে ডানে বা বাঁয়ে সরিয়ে দিলে সেটি অপর মনিটরটিতে চলে যাবে।