নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অনড় অবস্থানে আছেন বলে জানিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের মনোনীত মুখপাত্র জি এম কাদের। গতকাল দুপুরে পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
উত্তরার নিজ বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, এরশাদ আগের অবস্থানেই অনড় আছেন। তিনি আগেই একটি চিঠির মাধ্যমে আমি জি এম কাদের ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে তার মুখপাত্র মনোনীত করেছেন। তারা ছাড়া অন্য কেউ কোন বক্তব্য দিলে তা দলীয় বক্তব্য নয়। জি এম কাদের নিজের ওপর প্রচণ্ড চাপের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, অনেক কথা আছে, তা বলতে পারছি না। প্রশ্ন করলেও তার জবাব দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। তবে দু-একদিনের মধ্যেই আপনাদের ডেকে আমি বিস্তারিত বলবো। তিনি বলেন, আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হতে চাই না। পার্টির চেয়ারম্যানের নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি। সরকারি কোন সুবিধা নিচ্ছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সংবিধান অনুযায়ী আমি এখন আর মন্ত্রি না। জটিলতা দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়নি বলে বলা হচ্ছে। পার্টির চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রেও তাই বলা হচ্ছে। যাই হোক আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না এবং নির্বাচনে নেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরপরই ১টায় জি এম কাদেরের বাসার সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি পুলিশের দল তার বাসা ঘিরে রাখে। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরও সেখানে দেখা যায়। প্রায় ঘণ্টাকাল সেখানে তারা অবস্থান করে চলে যান। আবার ঘণ্টাকাল পর তারা ফিরে এসে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে চলে যায়। ওই সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটি গ্রুপ জি এম কাদেরের বাসার সামনে এসে পাকিস্তানের দালাল, দালাল বলে মিছিল করে পুলিশ পাহারায় চলে যায়। পরে খবর পেয়ে বিকালে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে জাপার নেতাকর্মীরা জি এম কাদেরের বাসার সামনে জড়ো হয়ে মিছিল করেন। জি এম কাদেরের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে। এমন স্লোগান দেন তারা। এদিকে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ রওশন এরশাদের নেতৃত্বে নির্বাচনে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়ার পর এরশাদ হাসপাতাল থেকে জি এম কাদেরকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। এরশাদের বার্তা পেয়েই কাদের সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। এদিকে গত দু’দিন ধরে এরশাদের মোবাইল ফোনেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। তার সঙ্গে সাক্ষাতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন তাদের মোবাইল ফোন রেখে যেতে হচ্ছে। এ ছাড়া বাসা থেকে খাবার নিয়ে যারা যাচ্ছেন তাদের কড়া নজরে রাখা হয়েছে।