গভীর ধ্যান বা মেডিটেশনে বিক্ষিপ্ত মন প্রশান্ত হয় এবং নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের প্রতি মনোযোগ বাড়ে। মেডিটেশনের প্রচলন রয়েছে বহুকাল আগে থেকেই। এবার নতুন এক গবেষণার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও স্পেনের একদল মনোবিজ্ঞানী বলছেন, মেডিটেশনে মানসিক অবস্থার পাশাপাশি জিনগত অভিব্যক্তিও বদলে যায়।
সাইকোনিউরোএন্ডোক্রিনোলজি সাময়িকীর আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এতে মূলত দেখানো হয়েছে, মেডিটেশন মানসিক উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য দায়ী জিনগুলোর কার্যকারিতা সীমিত রাখতে পারে। সংশ্লিষ্ট গবেষক ও স্পেনের ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিকেল রিসার্চ অব বার্সেলোনার গবেষক পার্লা কালিমান বলেন, তাঁরা মেডিটেশনের প্রভাবে কয়েকটি নির্দিষ্ট জিনের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করেছেন। সাধারণত মানসিক উত্তেজনা প্রশমনকারী ওষুধ দিয়ে এসব জিন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। তাঁরা মেডিটেশন চিকিৎসা প্রয়োগ করে দীর্ঘস্থায়ী মানসিক উত্তেজনা নিরসনের ব্যাপারে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত পেয়েছেন।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী একদল ব্যক্তি আট ঘণ্টাব্যাপী মেডিটেশন করেন। একই সময়ে অপর একটি দল বিকল্প উপায়ে মানসিক প্রশান্তি অর্জনের চেষ্টা করে। পরে উভয় দলের স্বেচ্ছাসেবীদের নির্দিষ্ট জিনগত অভিব্যক্তি পরিবর্তনের তথ্য-উপাত্ত তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রিচার্ড জে. ডেভিডসন বলেন, মেডিটেশনের প্রভাবে জিনের অভিব্যক্তি পরিবর্তনের বিষয়টি এই প্রথম কোনো গবেষণায় ধরা পড়ল। হাফিংটন পোস্ট।