মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর কড়া প্রহরায় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ফরিদপুরের নিজ গ্রামে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার লাশ দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোররাত সোয়া চারটার দিকে সদরপুর উপজেলার আমিরাবাদে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে গতকাল দিবাগত রাত দুইটা ১০ মিনিটে কাদের মোল্লার লাশ ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শিবলী গ্রহণ করেন। ১৫টি গাড়ি বহরযোগে রাত তিনটা ২৫ মিনিটে কাদের মোল্লার গ্রামের বাড়িতে তাঁর লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কাদের মোল্লার লাশ গ্রহণ করেন তাঁর ছোট ভাই ও ভাসানচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাঈনুদ্দিন মোল্লা।
এর আগেই স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে কাদের মোল্লার শেষ ইচ্ছানুযায়ী মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর কবর খোঁড়া হয়। তিনটা ৪৮ মিনিটে বাড়ির আঙিনায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজ পড়ান ফরিদপুরের ট্যাপাখোলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু তালেব। এতে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই ছিলেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী। জানাজা শেষে দাফন প্রক্রিয়া চারটা ছয় মিনিটে শুরু হয়ে সোয়া চারটার মধ্যেই শেষ হয়।
দাফন অনুষ্ঠানে কাদের মোল্লার ভাই মাঈনুদ্দিন মোল্লা, ভাগনে মনি মৃধা ও মাইনুদ্দিন মোল্লার ছেলে সজীব মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। তবে কাদের মোল্লার স্ত্রী ও সন্তানদের কেউ এ সময় ছিলেন না।