বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সংলাপের টেবিলে বসাতে জাতিসংঘ গত দুই দিনে দুবার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু দুই দলের অনড় অবস্থানের কারণে দুবারই বিফলে গেছে এ উদ্যোগ। অবশ্য গতকাল দুই দলের নেতৃবৃন্দ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন যে, তারা আবারো বসতে পারেন এবং সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের পথ বেরোতে পারে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে আসছেন সেই আগস্ট মাস থেকে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে আবারো তাগাদা দেন বান কি মুন। শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের আলাপচারিতার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, বান কি মুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চান।
এ আলাপচারিতা হয় গতকাল দুপুরে। এর প্রায় এক ঘণ্টা পরই দুই পক্ষের সমঝোতার বিষয়ে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক কোনো রকম ঐক্যমত ছাড়াই শেষ হয়।
অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো তার সফরকালে দেখেছেন, ক্ষমতাসীন দলের একটিই শর্ত, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হতে হবে এবং নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। আর নির্বাচনের তারিখ পেছানোর বিষয়ে আ. লীগের নেতারা বলেন, যদি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল সহিংস হরতাল-অবরোধ বন্ধ করে, কেবল তবেই মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ৩/৪ দিন পেছানো যেতে পারে।
অন্যদিকে, বিএনপি তার শর্তে অটল। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনে শেখ হাসিনার একাধিপত্য তারা মেনে নেবে না। আর এ ক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘আপসহীন মনোভাব’ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, এতো কিছুর পর জাতিসংঘের উদ্যোগের সারমর্ম দাঁড়াচ্ছেন এমন- বাংলাদেশে তারানকো তার পাঁচ দিনের সফরে দুই দলকে আলোচনায় বসাতে দুবার উদ্যোগ গ্রহণ করলেই তা আলোর মুখ দেখেনি।