ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার বিকেলে কাদের মোল্লার মৃত্যুর পরোয়ানা ট্রাইব্যুনাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।
এর আগে দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার একেএম শামসুল ইসলাম রায়ের অনুলিপি ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে হস্তান্তর করেন।
বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের সাদা রঙ্গের একটি গাড়িতে করে (ঢাকা মেট্রো-চ ৫৩-৭৪৮১) রায়ের অনুলিপি পাঠান।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রায়ের অনুলিপি আনতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার অফিসে যান। পরে বেলা প্রায় ১২টার দিকে জলপাই রঙ্গের একটি ট্রা্ঙ্ক করে রায়ের অনুলিপি পাঠান।
এর আগে ট্রাইব্যুনাল রেজিস্ট্রার জানিয়েছিলেন, আমাদের কাছে আপিল বিভাগের রায়ের কপি আসামাত্রই আমরা সেটি জেলখানাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেব। সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানাসহ অন্যান্য কাগজপত্র থাকবে।
আসামির রিভিউর জন্য অপেক্ষা করবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার বলেন, এটা আমাদের কাজ নয়। রিভিউ দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমাদের কাজ রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর জেল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া।
অন্যদিকে আবদুল কাদের মোল্লার আইনজীবী তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যেদিন সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করা হয়েছে, সেদিনেই পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপি চেয়ে আপিল বিভাগে একটি আবেদন করা হয়েছে। আমরা সার্টিফাইড কপি হাতে পাওয়ার পর রিভিউ পিটিশন দায়ের করব। এক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী ৩০ দিন সময় দেয়া থাকলেও যতক্ষণ পর্যন্ত সময় লাগবে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত সময় নেব। ৩০ দিনের আগে সাজা কার্যকর করার কোনো অধিকার কারা কর্তৃপক্ষের নেই বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, জেল কোড অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করারও সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া জেল কোড অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পাওয়ার পর সাজা কার্যকরের ক্ষেত্রে ২১ দিনের আগে নয়, আবার ২৮ দিনের পরে নয় সংক্রান্ত যে বিধান রয়েছে তা কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ২০(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের দেয়া সাজা কার্যকর করবে সরকার। তাই এক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।