বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিলের পর সবচেয়ে বড় আয়োজনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও যুক্তরাষ্ট্রের জীবিত সাবেক প্রেসিডেন্টরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ। এর আগে পোপ দ্বিতীয় জনপল, প্রিন্সেস ডায়ানা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, উইন্সটন চার্চিলসহ অনেক খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের শেষকৃত্যে বিশ্বনেতারা অংশ নিয়েছেন। তাদের থেকে ম্যান্ডেলা ভিন্ন। তার আবেদন, তার ব্যাপকতা, তার জনপ্রিয়তা যেন আকাশ ছুঁয়েছে। আধুনিক সভ্যতার ইতিহাসে তার সঙ্গে তুলনা দেয়ার মতো ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া ভার। তাই এই মহানায়ককে শেষ বিদায় দিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা। যুক্তরাজ্য থেকে যাওয়ার কথা প্রিন্স চার্লস, প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের। এছাড়া, তার শেষকৃত্যে অংশ নেবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। উপস্থিত থাকবেন সেলিব্রেটি, অভিনেতা, অভিনেত্রী, সমাজসেবকসহ অসংখ্য মানুষ। এতে যোগ দেবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। সেখানে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। ম্যান্ডেলার মরদেহ প্রিটোরিয়ার একটি সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ জাতীয় প্রার্থনা দিবস পালন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামীকাল জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে ৯৫ হাজার আসনের একটি স্টেডিয়ামে জাতীয় শোক অনুষ্ঠান পালন করা হবে। ১১ই ডিসেম্বর থেকে প্রিটোরিয়ায় তিন দিনের জন্য ম্যান্ডেলার মরদেহ রাখা হবে। এরপর ১৫ই ডিসেম্বর পূর্ব কেপটাউনের কুনু গ্রামে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।