শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের কালিতলা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা দহেরঘাট মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক সংখ্যালঘু অমল কুমার রায়ের সুরক্ষিত দোতালা ভবনে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা অসুস্থ গৃহস্বামী অমল কুমারকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার লাইসেন্স করা একনলা বন্দুক, নগদ ৩ লাখ টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণের গহনাসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি শহরের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত অমল কুমার রায় জেলার রানীনগর উপজেলার দেউলা স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং পার্শ্ববর্তী নলদীঘি গ্রামের মৃত অবিনাশ রায়ের পুত্র।
নিহতের স্ত্রী কল্পনা রানী জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে স্বামী-সন্তান নিয়ে খেয়ে দেয়ে তিনি তার কর্মস্থলে চলে যান। তিনি রানী নগর উপজেলার বড়গাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বেলা সোয়া ১১টায় ছেলের ফোন পেয়ে তিনি ফিরে এসে স্বামীর মৃতদেহ দেখতে পান। ছেলে অপূর্ব রায় জানায়, তার মা স্কুলে বের হয়ে যাওয়ার পর বাবাকে বাসায় রেখে সে ব্রিজের মোড়ে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচী দেখতে যায়। সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে তার বাবা (অমল রায়) মোবাইল ফোনে তাকে ওষুধ খাওয়ানোর জন্য বাসায় ডাকে। এর অন্তত আধাঘণ্টা পর সে বাসায় ফিরে বিছানায় তার পিতাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। নিজের বাসা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় খোঁজ করে না পেয়ে তার মাকে ফোন দেয়। এর একপর্যায় তার বাথরুমে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের ধারণা ডাকাতরা প্যারালাইসিস রোগী অমল কুমার রায়কে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশটি বাথরুমে লুকিয়ে রাখে। এর পর ঘরের সাব বাক্স ও আলমারি ভেঙ্গে একটি লাইসেন্স করা একনলা বন্দুক, নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।