শাহবাগের শিশু পার্কের সামনে পেট্রোল বোমা ছুড়ে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ছাত্রদলের দুই নেতা স্বীকার করে বলেছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ পালনের জন্য বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আগুন দেয়া হয়েছিল। শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর শান্তিনগর ও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে ছাত্রদলের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ উজ্জল হোসেন (২৬) ও ছাত্রদলকর্মী সোহেল চান ওরফে মিলন (২৮) গ্রেফতার হয়। এর আগে গত ২ ডিসেম্বর লালবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ছাত্রদলকর্মী সাব্বিরকে। তারই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছাত্রদলের ওই দুই নেতাকে আটক করা হয়। যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে গত ২৮ নভেম্বরে তারা রাজধানীর বিভিন্নস্থান থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়। পরে মাগরিবের আজানের পর অন্ধকারে পার্কের ভেতর থেকে বের হয়ে শিশুপার্ক সংলগ্ন অগ্রণী ব্যাংকের সামনে রাস্তায় চলন্ত বিহঙ্গ পরিবহনের বাস গতিরোধের চেষ্টা চালায়। এতে বাসটি ভাংচুর করা হয়। এতে বাসটি দ্রুতগতিতে পালানোর সময় রাস্তার ডিভাইডারের ওপর উঠে যায়। এ সময় তাদের মধ্যে একজন একটি পেট্রোল বোমা বাসের চালকের গ্লাসের ওপর নিক্ষেপ করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানায়, তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ পালন করার জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে হরতাল ও অবরোধে যানবাহন লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের নাশকতা করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত দুই ছাত্রদল নেতার তিন দিনের রিমান্ড ॥ শাহবাগে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে ১৯ জনকে দগ্ধ করার মামলায় গ্রেফতারকৃত ছাত্রদলের উজ্জল হোসেন ও সোহেল চানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শনিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী এ আদেশ দেন। এর আগে আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। বিপরীতে তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।