নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুর খবর ছিল গতকাল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রধান সংবাদ শিরোনাম। পত্রিকাগুলো প্রথম পৃষ্ঠায় বেশ গুরুত্ব দিয়ে সংবাদটি ছাপে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর প্রধান প্রতিবেদনও ছিল তাঁকে নিয়ে। এ ছাড়া ফেসবুক, টুইটার ছাড়াও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ছিলেন কথাবার্তার মূল বিষয়বস্তু।
দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ‘দ্য স্টার’ তাদের নেতার মৃত্যুর খবরে কালো হরফের শিরোনামে লিখেছে, ‘বিশ্ব কাঁদছে’। যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক টাইম ম্যাগাজিন ম্যান্ডেলার ছবির ক্যাপশনে লিখেছে, ‘প্রতিবাদী। কারাবন্দি। শান্তি স্থাপনকারী।’ ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান তাদের সম্পাদকীয়তে বলেছে, ‘চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও কর্মই ম্যান্ডেলাকে কলঙ্কহীন স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’
ব্রিটেনের আরেকটি দৈনিক পত্রিকা ডেইলি মেইল ম্যান্ডেলাকে এক ‘প্রতীক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তারা লিখেছে, ‘ম্যান্ডেলা বিশ্বকে শিখিয়েছে ক্ষমাশীলতার মানে কী?’ জার্মানির ‘দের স্পাইগেল’ তাদের অনলাইন সংস্করণে ম্যান্ডেলাকে ‘অত্যাচারবিরোধী সেরা নায়ক’ আখ্যা দিয়েছে। সেখানকারই আরেক দৈনিক তাগেস্পাইগেল শিরোনাম করেছে, ‘এক সন্তের মৃত্যু’।
ফ্রান্সের ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদপত্র এল’ইকুইপে লিখেছে, ম্যান্ডেলা ১৯৯৫ সালে রাগবি বিশ্বকাপে দেখিয়েছেন, কিভাবে ক্রীড়াকে জাতীয় সংহতির জন্য ব্যবহার করতে হয়। ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, ‘জাতির ত্রাণকর্তার মৃত্যু’। ‘ক্ষমতা কী তা সত্যিকারার্থে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন ম্যান্ডেলা’- এমন মন্তব্য করেছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ফিন্যানশিয়াল টাইমস।
এ ছাড়া ম্যান্ডেলার মৃত্যুর খবর মুহূর্তেই ফেসবুক ও টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হংকংয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, ‘আমি টুইটারে প্রথম খবরটি পাই। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তা ফেসবুকে দিয়ে দেই।’ সূত্র : এএফপি
– See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/deshe-deshe/2013/12/07/28083#sthash.YL6dfrBd.dpuf