অবরোধের আগের দিন রাজধানীতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বাড্ডায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা জুমার নামাজের পর রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় একটি পুলিশের গাড়িতেও আগুন দেয়া হয়। বিকালে মিরপুরে যানবাহন ভাঙচুর করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল জুমার নামাজের পর রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। নামাজ শেষে বাড্ডার কুয়েতি মসজিদ থেকে শিবিরের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পেট্রোল বোমা মেরে আলিফ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। সংঘর্ষের সময় পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করেও পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারা হয়। এতে পুলিশের পিকআপ ভ্যানটিতেও আগুন ধরে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া মিছিলকারীরা বিআরটিসির দু’টি বাসসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করেছে। এরা সবাই জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে তিনি জানান। এদিকে বিকাল পৌনে চারটার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর আল হেলাল হাসপাতালের সামনের সড়কে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিল থেকে কয়েকটি বাস ভাঙচুর ও একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে মিছিলকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বিকাল ৪টার দিকে ফার্মগেটের খামারবাড়ী এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন যুবক মাইক্রোবাসটি থামিয়ে আগুন দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। মাইক্রোবাসটি পাঁচতারা হোটেল সোনারগাঁওয়ের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।