ভারতের উত্তর প্রদেশের এক নিভৃত গ্রাম হাথিয়া। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ জুরে যে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে তাতে ভোট দিতে বেকে বসেছে হাথিয়ার গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, কোনো সেতু নেই তো কোনো ভোটও নেই।
আর তাই আগামী ১১ তারিখের নির্বাচনে ভোটদান থেকে নিজেদের বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মূল শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত গ্রামটি। শহরে যেতে হলে একমাত্র ভরসা নৌকা। তামসা নদী পার হয়ে প্রতিদিন শহরে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীর। গ্রামবাসীর দাবি, তামসা নদীর ওপরে সেতু হওয়ার কথা বিগত তিন বছর ধরেই। কিন্তু হবো হবো করেও হচ্ছে না সেতুটি।
গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুজিত ভূষণ জানান, আমরা এই সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের ওপর রাগান্বিত। কারণ তারা আমাদের কথা শোনে না। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরও বীতশ্রদ্ধ কারণ তারা আমাদের ইস্যু নিয়ে কোনো কথা বলে না। যার কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভোট না দেওয়ার। এই গ্রামে মোট তিন হাজার ভোট রয়েছে। আমরা সকলকে নিয়ে আন্দোলনে যাচ্ছি।
গ্রামবাসীরা গ্রামে ঢোকার প্রবেশ মুখেই ‘পুল নাহি তো ভোট নাহি’ অর্থ্যাৎ ‘সেতু নেই তো ভোট নেই’ লেখা সম্বলিত একটি ব্যানার ঝুলিয়ে রেখেছে।
ভূষণ আরও জানান, নদী পার হই আমরা নৌকা দিয়ে। কিন্তু নৌকায় যাতায়াত করা বিপদজনক এবং ব্যয়বহুল। কারণ আমাদের প্রতিদিনই যাতায়াত করতে হয়। শহর ইতোমধ্যেই ভর্তি হয়ে গেছে। শহর বাড়ার কোনো জায়গা নেই। কিন্তু গ্রাম এখনও অনেক বড়। এখানে স্কুল-কলেজ নির্মান করলে শহরের ওপর অনেক চাপ কমবে।