জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, এরশাদের এ ধরনের চরিত্রের সঙ্গে তারা পরিচিত। নেতাদের আশা, তিনি আবারও তার অবস্থান ও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন। এরকম সিদ্ধান্ত তার জন্য নতুন কিছু নয়। অতীতেও একেক সময় একেক ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে এরশাদ সবার কাছে নিজের অনিশ্চিত চরিত্রের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এবিষয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অপেক্ষা করুন, দেখুন কি হয়। দলের উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, উনি (এরশাদ) ক্রিয়া করেই যাচ্ছেন। উনার ক্রিয়া যে কতক্ষণ থাকে তা বোঝা যায় না। আমাদের উচিত বিষয়টাকে গুরুত্ব না দিয়ে অপেক্ষা করা। তিনি হয়তো সাময়িক ক্ষোভে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিকও হতে পারেন। নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন স্বেচ্ছায়। সরকারেও অংশ নিয়েছেন স্বেচ্ছায়। সুরঞ্জিত বলেন, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। কোন কারণে হয়তো তিনি ক্ষুব্ধ। ওনার মন স্বাভাবিক হলে তার এই সিদ্ধান্ত পাল্টাতেও পারেন। আমি আশা করি, তার এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা তিনি বিবেচনা করবেন। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাই এরশাদের শেষ কথা নয়। এর আগেও তিনি স্পষ্ট বলেছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তার শেষ কথা শোনার জন্য মননোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন এটি লেটেস্ট (নতুন) কিছু নয়। এরশাদের এই লেটেস্টের পরেও আরও লেটেস্ট থাকতে পারে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, এটি কোন নতুন বিষয় নয়। ‘এরশাদ ইজ অলওয়েজ আনপ্রেডিক্টেবল’। তার শেষ বলে কিছু নেই। তবে এই মুহূর্তে এই সিদ্ধান্তে তার ক্রেডিবিলিটি যেমন নষ্ট হয়েছে তেমনি চলমান সকল কর্মকাণ্ডকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এটা তো তার জানাই ছিল। তাহলে মনোনয়নপত্র দাখিলসহ এতসব নাটকের কি প্রয়োজন ছিল? হতে পারে হয়তো তিনি পরবর্তী দৃশ্যের জন্য আরেকটু অপেক্ষা করছেন। এ জন্য আমাদেরও অপেক্ষায় থাকতে হবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।