রাজনীতির নামে গণহত্যা চালাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া, অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বেলা তিনটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আগুনে-পোড়া বাসযাত্রীদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি চলতে থাকা জ্বালাও-পোড়াও সম্পর্কে তার অবস্থান স্পষ্ট করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দল রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করছে। তারা সন্ত্রাসের পথে চলে গেছে। তার প্রমাণ এই বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারার ঘটনা।’
সমঝোতার জন্যে নিজে উদ্যোগী হয়ে ফোন করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতোটা নমনীয় মানুষ হতে পারে, আমি ততটাই নমনীয় হয়েছি। তিনি সাড়া দিলেন না। এখন গণহত্যার বিরুদ্ধে ততোটাই কঠোর হব, যতোটা নমনীয় হয়েছিলাম সমঝোতার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘অবরোধের নামে যারা গণহত্যা চালাচ্ছে, তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ মানুষ ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিকিৎসকদের কথা শোনেন, বেশ কিছু পরামর্শ দেন তিনি।
বিরোধী দলকে হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “আগুনে মানুষ পোড়ানোর মতো যারা ঘৃণ্য অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
তিনি আরো বলেন, “সহিংসতার মাধ্যমেই গণহত্যা চালানো হচ্ছে। এটা সহিংসতা, এটা গণহত্যা। বিএনপি জামায়াত শিবিরকে গণহত্যা চালাচ্ছে। ঠিক যেমন একাত্তরে বাঙালি জাতির ওপর করা হয়েছিল।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অবরোধের ছবি দিচ্ছেন, যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে তাদের ছবিও দিন। তাদেরকে ধরিয়ে দিন। আইনের মাধ্যমে এর বিচার করা হবে।”
বিরোধী দলের কর্মসূচীর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, “বিরোধীদলীয় নেতা এসি রুমে বসে থাকবেন, আর আগুনে মানুষ পোড়ানোর হুকুম দেবেন, এটা হতে পারে না।’