অগ্নিদগ্ধ রোগীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে গিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী রওশন এরশাদ।
রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাসপাতালে আসেন রাশেদ খান মেনন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসেন ওবায়দুল কাদের। এর কিছুক্ষণ পরই এসেছেন শাহজাহান খান এবং বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে আসেন রওশন এরশাদ।
এ সময় তারা দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যোগাযোগ মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের নিষ্ঠুর রাজনীতিতে এখন নৃশংস ও নির্মম কৌশল ব্যবহার হচ্ছে। রাজনৈতিক এই নিষ্ঠুর কৌশলে মানুষের মূল্যবান জীবন ভয়ঙ্করভাবে ঝরে যাচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “যারা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে এরা কিন্তু সবাই নিরীহ সাধারণ মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষ। ডাক্তাররা বললেন, অনেকের দুই’টা পয়সা খরচ করার সামর্থ নেই।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “গত ১১ মাসে পরিবহন সেক্টরে ৪০ জন বাস, ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। ৪০ লাখ বাস পরিবহন শ্রমিক বেকার। তারা দুর্বৃসহ জীবন যাপন করছেন।”
রওশন এরশাদ বলেন, “আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যানের জন্য। কিন্তু তার নমুনা যদি এই হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। বাস-ট্রেনে আগুন নিয়ে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করে, এটা কোন ধরণের কল্যান! মন্ত্রী নয়, এক জন মানুষ হিসেবে আমরা এর নিন্দা জানাই। পাশাপাশি এ ধরণের সহিংসমূলক আচরণ থেকে সকলকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাই।”
রোগীদের সম্পর্কে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, “গত ১ মাস থেকে শুরু করে শনিবার রাত পর্যন্ত হরতাল, অবরোধ ও অন্যান্য সহিংসতার ঘটনায় বর্তমানে হাসপাতালে ৩৫ জন রোগী ভর্তি আছে। এদের মধ্যে ১৫ জন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ৫ জন রয়েছেন আইসিইউতে। বাকিরা যে ঝুঁকিমুক্ত তা বলা যাবে না। তাদের বেশিরভাগ শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।”
তিনি আরো বলেন, “যে কোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত না রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারছে ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে ঝুঁকিমুক্ত বলা যাচ্ছে না।”