দলীয় সন্ত্রাসী ও গডফাদারদের মেয়র বানাতেই ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) দুই ভাগের প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা-এ অভিযোগ বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সরকারি ছুটি পুনর্বহালের দাবিতে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
সোমবার মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে উত্তর দক্ষিণ দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে।
এ প্রস্তাব আইনে পরিণত করতে খুব শিগগিরই বিল আকারে সংসদে উঠানো হবে। শুরু থেকেই এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিল বিএনপি।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘নাসিকের পর আরেকটি ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। সন্ত্রাসী ও দলীয় গডফাদারদের মেয়র বানাতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার উদ্যোগ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘৮ বছর পার হয়ে গেলেও ডিসিসি নির্বাচন দিতে পারেনি সরকার। এখন ঢাকা মহানগরকে ভাগ করে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন করে দলীয় গডফাদারদের মেয়র বানাতে চায়।’
ফারুক অভিযোগ করে বলেন, ‘সেনা মোতায়ন না করে নাসিক নির্বাচনকে ভাই-বোনের নির্বাচনে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বললেন- কয়েকদিনের মধ্যে আমরাও একজন মহিলা মেয়র উপহার দিতে যাচ্ছি – এ থেকে কি প্রমাণ হয় না, সেনা মোতায়ন না করে নাসিক নির্বাচনকে তিনি ভাই-বোনের নির্বাচনে পরিণত করেছেন।’
তাছাড়া নির্বাচনের দিন কারচুপির অভিযোগ করলেও পরের দিন শামিম ওসমান সব অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন কেন? -জানতে চান ফারুক।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ আজ্ঞাবহ। এদের মেয়াদ শেষে আরেকটি আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য এরই মধ্যে দলীয় লোকদের ভেতর থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। তবে কোনও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর নির্বাচন হবে না।’
জিসাসের সভাপতি আবুল হাশেম রানার সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, জিসাসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মতিউর রহমান ডিজেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রীনা খান প্রমুখ।