প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সময়ে প্রায় ৬ হাজার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হয়েছে। কোন নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ করতে পারেনি। সকল নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে একটি নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়নি। তাদের মাগুরামার্কা নির্বাচন দেশবাসী এখনো ভুলে যায়নি।
দেশের তথাকথিত সুশীল সমাজের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ব্যর্থ লোকেরা আমাদের বুদ্ধি-পরামর্শ দেয়, আবার রাষ্ট্রপতির কাছেও যায়। তখন (২০০৮-০৭ সালে) কেন তারা ব্যর্থ হলো। তিনি বলেন, বিএনপি ১ কোটি ভুয়া ভোটার তৈরি করে তাদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে প্রধান উপদেষ্টা করে নির্বাচন করতে চেয়েছে। তারপরেই তো ওয়ান ইলেভেন এলো। অনেকে তখন তাদের (জরুরি সরকারের) পক্ষে ছিলেন। তারা আবার এখন আমাদের সবক দিতে আসেন।
বিরোধী দলের কর্মসূচিতে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় বিরোধী দলীয় নেতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনার মানবতা বলে কিছু নেই। ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছেন। উনি জনগণের শান্তি চান না, অশান্তি চান। জনগণের শান্তি উনার ভালো লাগে না। এ কারণে একের পর এক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, এই পোড়ানোর খেলা বন্ধ করেন। বাংলাদেশের মানুষ ক্ষেপলে, যারা পোড়ানোর হুকুম দিচ্ছেন, তাদের পোড়ানোর জ্বালা সহ্য করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মামলার রায়ের দিনেও বিএনপি হরতাল ডেকেছিল। আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে বলে তাদের মনে বড় ব্যথা।
যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ জনসভা শুরু হয় সকাল ১০টায়। অনুষ্ঠানে ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু (চলচ্চিত্র), রফিকুল ইসলাম-মরণোত্তর (ভাষা), মুশফিকুর রহিম (খেলাধুলা), সিদ্দিকুর রহমান (খেলাধুলা), মোহাম্মদ এ আরাফাত (গণমাধ্যম) এবং ঝর্ণা বেগমকে (সাহসিকতা) বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ভূমিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।