মওদুদ আহমদ ও এম কে আনোয়ারসহ পাঁচ বিএনপি নেতার জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত
বিরোধী দলের অবরোধের মধ্যে আগের হরতালে হাতবোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুরের দুই মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হক জামিন নাকচের এই আদেশ দেন।
ফলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে।
দুই মামলায় কারাফটকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি আগেই পেয়েছিল পুলিশ।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ৮ নভেম্বর ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডাকার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে এই বিএনপি নেতাদের আটক করে পুলিশ।
পরে তাদের ৫ নভেম্বরের হরতালে কমলাপুরে হাতবোমা বিস্ফোরণ,পুলিশের ওপর হামলা এবং ২৪ সেপ্টেম্বরে মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের সামনে গাড়ি ভাংচুরের দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।বিরোধী দলের জোরদার আন্দোলনের হুমকির মধ্যে শীর্ষপর্যায়ের এই নেতাদের গ্রেপ্তার সরকারের কঠোর অবস্থানের বার্তা বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এরপর বিরোধী দলের আপত্তির মধ্যে গত ২৫ নভেম্বর দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে অবরোধ কর্মসূচি আহ্বান করে ১৮ দল।
ওই কর্মসূচি ঘোষণার দিন গ্রেপ্তার হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আ স ম হান্নান শাহ। তাকে রিমান্ডেও পেয়েছে পুলিশ।
মওদুদসহ পাঁচ নেতাকে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ডে চাইলে গত ১৪ নভেম্বর মহানগর হাকিম আদালত আসামিদের জামিন নাকচ করে এক মামলায় তিন দিন ও অন্য মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল।
এরপর বিএনপি নেতারা রিমান্ড স্থগিতের জন্য হাই কোর্টে গেলে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ তা মঞ্জুর করে।
এরপর বিচারিক আদালত বিএনপি নেতাদের কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে অনুমতি দেয়।