প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ রেমিটেন্সের কোন সুখবর নেই। রেমিটেন্স নিয়ে নভেম্বরেও নিম্নগতি লক্ষ্য করা গেছে। চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে রেমিটেন্স এসেছে ৭৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নভেম্বরে প্রতিদিন গড় রেমিটেন্স এসেছে ৩ কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার ডলার। যা গত মাসের প্রথম ১৮ দিনের চেয়ে কম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেমিটেন্স সব চেয়ে বেশি এসেছে ইসলামী ব্যাংকের বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ২১ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। এরপরের অবস্থান রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের। প্রবাসীরা ১০ কোটি ৭ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার।
আর জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এসেছে ৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
এ হিসেবে শেষ ৮ দিনে রেমিটেন্স আসতে পারে ২৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর নভেম্বর মাস জুড়ে মোট রেমিটেন্স আসতে পারে ১০৮ থেকে ১১০ কোটি ডলার।
রেমিটেন্স কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারনেই রেমিটেন্স কম আসছে। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রবাসিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। এ কারণে তারা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে না।
অপরদিকে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য প্রবাসিদের উদ্বুদ্ধ করতে এনআরবি ডাটাবেজ উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে বছরের ১০ জন সেরা রেমিটেন্স প্রদানকারীকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়বে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স অনেক কম এসেছে। আগস্টে এসেছে ১০০ কোটি ৫৭ লাখ এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ১০২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। অক্টোবরে রেমিটেন্স আসে ১২৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।
অক্টোবরে রেমিটেন্স বেশি আসলেও নভেম্বরে আবার কম যাচ্ছে রেমিটেন্স প্রবাহ।