সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করায় এবং ড.মুহম্মদ জাফর ইকবালের পদত্যাগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার দুপুরে একাডেমিক কাউন্সিলে শাবি ও যবি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করার ২ঘন্টা পরই এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লেখক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক স্বপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পরে রাত সাড়ে সাতটায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে সিলেট থেকে বিদায় নেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও অধ্যাপক জাফর ইকবালের পদত্যাগের খবরে ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে। সন্ধ্যা থেকেই হাজারো শিক্ষার্থী একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে বুধবার একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভা ডাকা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করবে তারা। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পুর্নবহাল করার সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। এদিকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন যশোর ব্জ্ঞিান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এদিকে যশোর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা না করে একক সিদ্ধান্ত নেয়ায় এ বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে রেজিস্ট্রারের কাছে নোট অব ডিসেন্ট জমা দেন একাডেমিক কাউন্সিলের ১০জন শিক্ষক। এতে ভর্তি ইচ্ছুক ও অভিবাবকদের পক্ষ থেকে আইনী সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে নোট অব ডিসেন্ট এ উল্লেখ করা হয়।
চলতি বছরে যশোর ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়। আগামী ৩০ নভেম্বর একই দিন, সময় ও অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।