রাষ্ট্রের স্বার্থে সবকিছু করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী।
মঙ্গলবার দুপুরে শেরে বাংলা নগরে নিজ কার্যালয়ে রাজনৈতিক সমঝোতায় ইসির পুনর্গঠন বা তফসিল পুনরায় ঘোষণার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলে সেক্ষেত্রে ইসির ভূমিকা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের দেশে অনেক বিজ্ঞ জ্ঞানী ব্যক্তিরা রয়েছেন। আর কেউতো কোনো জায়গায় চিরদিন থাকেন নি। রাষ্ট্র যেটা ভালো মনে করবে সেটি করবে।”
রাষ্ট্রপতি বা অন্য কাউকে সমঝোতার কথা বলবেন কিনা বা এখনো সমঝোতার আশা করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়টি আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহাদয় ভালো বলতে পারবেন। রাজনৈতিক সমঝোতা হলে আমাদের কাজ সহজ হয়ে যায়। সবাই চায় নিজ নিজ কাজ সহজ করতে। দেশবাসী চায় আমরাও চাই সমঝোতা হোক।”
মনোনয়ন পত্র দাখিলে ৭ দিন কম সময় হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “একটি ফরম পূরণ করতে এক ঘণ্টা লাগে। আর সাত দিন এটা যথেষ্ট সময়।”
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তফসিল স্থগিত করতে বলেছে এ ব্যাপারে ইসির মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা বলবো যে তফসিল ঘোষিত হয়েছে তা অনুসরণ করে আপনারা নির্বাচনে প্রার্থী দিন।”
বিরোধী দল যে অবরোধ কর্মসূচি দিচ্ছে এ ব্যাপারে ইসির পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অবরোধ দিলেও আমাদের নির্বাচনী দ্রব্য সকল জায়গায় পৌঁছানো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে এটি রুটিন ওয়ার্ক।”
নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা সম্পর্কে তিনি বলেন, “নির্বাচনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলবে এমন সব পোস্টার, ব্যানারসহ সকল প্রকার বিজ্ঞাপন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সড়িয়ে নেওয়ার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। যে না মানবে তার বিরুদ্ধে আচরণ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে সবাই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করতে পারবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে ইসি বারতি কোনো ব্যবস্থা নিবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যারা বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছে তারাই এ দায়িত্ব পালনে সমর্থ হবেন। তবে প্রয়োজন হলে আমরা অন্য কথা ভাববো।”
নির্বাচনে আগেই সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বলতে পারবো কবে সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে কবে সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করবো।”