গ্রামীণফোন লিমিটেড ২০১১ সালে ৮,৯০৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা ২০১০ এর একই সময়ের তুলনায় ১৯.২ শতাংশ বেশি।
প্রধানত গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি ও ইন্টারকানেকশন রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ডাটা, রোমিং ও হোলসেল বিজনেসের আয় বাড়ার কারণেই গত বছরের তুলনায় রাজস্ব বেশি হয়েছে। ২০১১ এর চতুর্থ প্রান্তিকে মোট রাজস্ব ছিল ২,২৮৩ কোটি টাকা, যা ২০১০ এর চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় ১৬.৬ শতাংশ বেশি।
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গ্রামীণফোন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের সিইও টোরে জনসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনৈতিক মন্দাভাব এবং ঘোলাটে নিয়ন্ত্রণ পরিবেশ সত্ত্বেও গ্রামীণফোন তার গ্রাহকদের কাছে প্রতিশ্রুত সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি। বরং বাজার প্রবৃদ্ধির সিংহভাগ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে।’
গ্রাহক কেন্দ্রিক অফার এবং পল্লী অঞ্চলে শক্তিশালী বিতরণ ব্যবস্থার কারণে গ্রামীণফোন গত বছর ৬৫ লাখ নতুন গ্রাহক সংগ্রহ করেছে। যে কারণে বছর শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ। মার্কেট শেয়ার হয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রামীণফোন ২০১১ এর ডিসেম্বরে তার পুরো নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন সম্পন্ন করেছে। এই বিশাল উদ্যোগ গ্রাহকদের আরো ভালো সেবা প্রদান এবং পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকার বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার প্রমাণ।
গ্রামীণফোন তার নেওয়ার্ক আধুনিকায়নে ২০১১ সালে ১২৯৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এর মাধ্যমে চালু হওয়ার পর থেকে গ্রামীণফোনের মোট বিনিয়োগের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৭,০৯৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম কর প্রধানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন এ বছর সরকারি কোষাগারে কর, ভ্যাট ও শুল্ক আকারে জমা দিয়েছে ৪,৬৬৫ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স নবায়ন ফি এর প্রথম কিস্তি হিসেবে ১৩৫০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া অর্থের পরিমান দাঁড়িয়েছে ২৪, ৫১৭ কোটি টাকা।