ভোট কারচুপির হিসেব দিলেন পার্থ

ভোট কারচুপির হিসেব দিলেন পার্থ

partoবিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কিভাবে ভোট কারচুপি হবে তার একটি ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আর টিভিতে একটি টকশোতে তিনি এই বক্তব্য দেন। পার্থর বক্তব্যর সেই অংশটুকু হুবহু তুলে ধরা হলো।

পার্থ বলেন, ”আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপির হিসেব। আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের সাথে আমাদের ৫ হাজার ভোটের ডিফারেন্স আছে ১২টি সিটে। ৩১ টা সিটে আছে ৫ থেকে ১০ হাজার, তারপর ১৫ হাজার ভোটের ডিফারেন্স আছে ৩২/৩৩ টা এবং ২০ হাজার ভোটের ডিফারেন্স আছে আরো ৩০ টার মতো সিটে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০২টা সিট আছে যেখানে মহাজোটের সাথে আমাদের ভোটের ডিফারেন্স আছে ২০ হাজার করে।

৭৪ টা সেন্টারের মধ্যে আমি যদি ৫০ টা সেন্টারে ২০০ করে ভোট পেয়ে ১০ হাজার ভোট পাই। আর আপনি যদি বাকি ২৪টা সেন্টারে মধ্য থেকে ১৪ টা সেন্টারেও ১ হাজার করে ভোট বেশি পান তাহলে কিন্তু আমি হেরে যাবো”।

তিনি বলেন, “কারচুপি হয় ৩টি বা ৪টি সেন্টারে, সকল সেন্টারে না। এ কারচুপি মানে ভোট রিগিং না। রাতের বেলা যদি প্রশাসনের লোক গিয়ে আমার ৫টি লোক খোঁজে তাহলে নির্বাচনে প্রভাব পড়ে। আপনারা ক্ষমতায় থেকে যখন রাজনীতি করবেন সেখানে নির্বাচন পরবর্তী একটা সহিংসতার ব্যাপার থাকে। সেখানেও কিছু মানুষ চিন্তা করে, যে ভাই আওয়ামী লীগ এমনেই ক্ষমতায় আসবেএদের সাথে ঝগড়া-ঝাটি করার দরকার নাই। সো নির্বাচন মানে ভোট রিগিং বা সেটার ব্যাপার আসছে না। একটা এটমোসফেয়ারের ব্যাপার আসছে। এগুলো সব কিছু মেটার করে ভোটে”।

তিনি আরো বলেন, “আমরা চাচ্ছি, বাংলাদেশের মানুষের যে অবস্থা বা আমাদের যে অবস্থান হান্ড্রেড পারসেন্ট ফেয়ার নির্বাচন করা সম্ভব না। এই জন্য আমরা চাচ্ছি, অপেক্ষাকৃত ফেয়ার করার জন্য… যেভাই এইটা করলে সবাই আমরা লেভেল প্লেইং ফিল্ডে আছি এবং আমরা এই নির্বাচনটা করতে পারবো। সুতরং ওই যে আগে কয়কয়টা মিউনিসিপল নির্বাচন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন তো ক্ষমতার পালাবদলের নির্বাচন না। যদি ক্ষমতার পালাবদলের নির্বাচন হতো তাহলে আমরা মনে করতাম ঠিক আছে আওয়ামী লীগ…। এটাতো ক্ষমতার পালাবদলের নির্বাচন। এই ক্ষেত্রে আমরা কোন রিস্ক নিতে পারি না।”

রাজনীতি