সোমবার রাতে কুমিল্লা মহানগরীর মনোহপুর সোনালী ব্যাংকের কাছে ১৮দলের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে একজন মারা গেছে।
পুলিশের দাবি, দেলোয়ার হোসেন (২৫) ককটেলের আঘাতে মারা গেছেন। তবে ছাত্রদলের দাবি, তিনি মারা যান পুলিশের গুলিতে। দেলোয়ার কুমিল্লা মহানগরীর দক্ষিণ চর্থার ফজর আলীর ছেলে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই কুমিল্লা মহানগরীতে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। পুলিশ এসময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় ২০ জন আহত হয়।
ঘটনাস্থল থেকে দেলোয়ারকে উদ্ধার করা কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই হারুন বলেন, ‘দেলোয়ার ককটেলের আঘাতে মাটিতে পড়ে থাকলে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাই।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেছেন, ‘পুলিশের গুলিতে দোলোয়ার মারা যায়।’
এছাড়াও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান ও মহাসড়কে ব্যাপক ভাংচুর বিস্ফোরণ হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরীর পদুয়ার বাজারে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। নাশকতা এড়াতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিন উপজেলার ঝাগুরঝুলিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। কুমিল্লা-লাকসাম সড়কের জাঙ্গালিয়ায় ২ টি সিএনজি অটোরিক্সাতে আগুন দেয়া হয়। পদুয়ার বাজার রেল গেইটে ৮/১০টি বাস ট্রাক ভাংচুর করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার বাইপাসে ৪ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।