আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে দেশবাসির মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ও বিভ্রান্তি ছিল। এই ঘোষণার মাধ্যমে এই বিভ্রান্তি দূর হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তফসিল ঘোষণা করেছে। আমি এজন্যে নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানাই।”
সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর গুলশানে নিজ বাসভবনে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তফসিল ঘোষণা পর এখন প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এমন আশবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, “বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলে আমি আশাবাদি। ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।আমার মনে হয় তারা নির্বাচনে আসবে।”
হানিফ বলেন, “আমরা নিরাস হচ্ছি না। তবে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। আমাদের দেখতে হবে নির্বাচনে দেশের জনগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করলো কিনা। তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারল কি না?”
সরকার নির্বাচনে বিরোধী দল ও দেশবাসির আস্থা অর্জন করতে পেরেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “আমাদের আমলে প্রায় ৬ হাজার নির্বাচন হয়েছে। সব নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তাই আমি বলবো আমরা ইতোমধ্যে সকল নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার মাধ্যমে বিরোধী দল বিএনপি ও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।”
দশম জাতীয় নির্বাচন ১৯৯৬’র নির্বাচনের পূনরাবৃত্তি হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালের নির্বাচন আর পুর্নাবৃত্তি হবে না। কেননা সেই সময় বিএনপি সকল নির্বাচনে কারচুপি করে প্রমাণ করেছিল তাদের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আর আমাদের সময়ে সকল নির্বাচন অবাধ ও সুস্থ হয়েছে।”
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
হানিফ বলেন, “আ্মরা বিএনপিকে অনেকবার আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীও তাদের বার বার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি স্বশস্ত্রবাহিনী দিবসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে আলোচনা বসার জন্যে বলেছেন।”
তিনি বলেন, “দেশবাসির সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও নির্বাচন চায়।কিন্তু তারা জামায়াতের চাপে নির্বাচনে আসা নিয়ে দ্বিধাদন্দ্বে রয়েছে। তবে আমি আশা করি তারা এই দ্বিধাদন্দ্ব কাটিয়ে নির্বাচনে আসবে।”
বিএনপির দেশ অচল করার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশ অচল করা হবে এ ধরনের উক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। দেশবাসি কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে এ কথা শুনতে চায় না। তবে আমরা রাজনীতে অনেক কঠিক কঠিন শব্দশুন। আমার অতীতেও এগুলো শুনেছি।”
বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সকল ধরনের সহিংসতা ও নৈরাজ্য ঠেকাতে প্রসাশন প্রস্তুত আছে।”