সামরিক অভ্যুত্থান অসম্ভব : জয়

সামরিক অভ্যুত্থান অসম্ভব : জয়

ls‘সুশীল সমাজের একটি অংশ ক্ষমতায় যেতে চায়, কিন্তু তারা কখনোই নির্বাচনে জিততে পারে না। একমাত্র সামরিক বাহিনীর সহায়তাতেই তারা ক্ষমতায় আসতে পারে। এজন্য তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের কথা বলছে। তবে বাংলাদেশের জনগণ অভ্যুত্থানের কোনো প্রচেষ্টা সহ্য করবে না। ”

”অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা হলেও শেখ হাসিনা কখনোই ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না। এটা হতে পারে কেবল আমাদের লাশের ওপর দিয়েই।”

রোববার ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ‘দি টেলিগ্রাফ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়। তবে সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয়েছে গত সপ্তাহে।

ওই সাক্ষাতকারে জয় বলেন, “সুশীল সমাজের একটি অংশ ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু তারা কখনো নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না। তারা যে পথে ক্ষমতায় আসতে পারে তা কেবল সেনা সমর্থন নিয়েই আসতে পারে। তারা এখন সেনা অভ্যুত্থানের কথা বলছে। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি, এই দেশের জনগণ এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা সহ্য করবে না।”

জয় বলেন, “আমাদের সরকারের সফলতা এত ব্যাপক যে, তাতে দেশের জনগণ একটি বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে কোন প্রকার সেনা অভ্যুত্থানকে সমর্থন দেবে না। এই সরকার একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

এ মুহূর্তে সেনা অভ্যুত্থানের কোন সম্ভাবনা নাই যুক্তি দেখিয়ে জয় বলেন, এর জন্য “আপনাকে একটি অভ্যুত্থানের লজিস্টিকসটা দেখতে হবে। কারণ ঠিক এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর এমন কোন জেনারেল বা কর্মকর্তা নাই, যাদের অভ্যুত্থান করার কোনোরকম আগ্রহ আছে।”

জয় বলেন, “একটি সফল অভ্যুত্থান করার জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করেত শেখ হাসিনাকে সশরীরে পেতে হবে। এই ভবনের (গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) রক্ষাকারী প্রহরীরা কিন্তু শেখ হাসিনার বেশ বিশ্বস্ত। এখানে এমন কোনো পথ খোলা নাই যে, এই রক্ষাকারীরা তাতে যে কাউকে পা ফেলার অনুমতি দেবে।”

জয় বলেন, “যেকোন অভ্যুত্থানের চেষ্টা খুবই রক্তক্ষয়ী হবে। ফলে আমি মনে করি না, সেনা কর্মকর্তাদের কোন গ্রুপ এই ধরনের ঝুঁকি নেবে। আমি আপনাকে বলতে পারি, শেখ হাসিনা কখনো ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন না। এটি ঘটতে পারে কেবল আমাদের লাশের উপর দিয়েই।”

অবশ্য সাক্ষাৎকারটিতে ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সাথে জয়ের ঘনিষ্টতার বিষয়টিও উঠে এসেছে। জয় আর রাহুলের রাজনীতিতে আসার প্রক্রিয়া এবং দুজনের মধ্যে মিল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, “আমাদের উভয়ের অবস্থা একেবারেই একইরকম। আমরা দুজনই এসেছি দুই প্রতিবেশী দেশের বিখ্যাত প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার থেকে। আমাদের উভয়ের পরিবারও খুবই ঘনিষ্ট। রাজনীতিতে আমার জড়ানো নিয়ে আমি রাহুলের সাথে আলাপ করেছি।”

এছাড়া সাক্ষাৎকারটিতে জয় বিরোধী দলের হরতালের চরম বিরোধীতা করেন। সেই সাথে তিনি আগামী নির্বাচনে কিভাবে জনগণকে আওয়ামী লীগের দিকে নিয়ে আসা যায় তার প্রচার কৌশল নিয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন জয়।

তবে জয় বাংলাদেশের জন্য এই নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, “যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে তবে সেটা হতে পারে অলৌকিক কোন উপায়েই

বাংলাদেশ রাজনীতি