‘আলোচনা হয়েছে, তবে অগ্রগতি নেই’

‘আলোচনা হয়েছে, তবে অগ্রগতি নেই’

ssahশনিবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত হান্নান শাহ। তবে এ বৈঠকে উল্লেখ্যযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, “ওই বৈঠক সম্পর্কে আমি যতটুকু জেনেছি, আলোচনার ফলাফলে বলার মতো কিছু নেই। সেখানে কোনো এজেন্ডা ছিল না। সৈয়দ আশরাফ বার বার বলেছেন, ‘আমি কিছু বলতে পারবো না, নেত্রী যা বলবেন আমি তাই করবো।…’ তিনি কর্তার (প্রধানমন্ত্রী) ইচ্ছায় কর্ম করেন। প্রধানমন্ত্রী আলোচনার ব্যাপারে আমাদের মহাসচিবকে বললেও আশরাফ সাহেবকে কিছু বলেন নি।”

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মেজর অবসরপ্রাপ্ত মিজান মুক্তির দাবিতে’ আয়োজিত এক সংবাদ সমেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের উদ্দেশ্যে হান্নান সাহ বলেন, “আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই। তবে আপনাদের আন্তরিকতা দেখাতে হবে।”

চলমান রাজনৈতিক সংকট ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মিজানুর রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে মেজর (অব.) মিজানুর রহমান মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও জাতীয়তাবাদী তৃণমূল দলের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন ভূইয়া নান্টু।

অর্থবহ সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামের অন্যতম এই নেতা।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালনের পর আশা করি সৎ জীবন-যাপন করবেন। এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন যাতে সংকট সমাধান হবে।”

“প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে আলোচনা করলে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত হবে। শেখ হাসিনার মধ্যে দেশপ্রেমের লেশমাত্র থাকলে তিনি পদত্যাগ করবেন” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বর্তমান সরকার বিদেশি সাপোর্টে দেশ পরিচালনা করছে বলেও মন্তব্য করে তিনি।

হান্নান শাহ বলেন, “আওয়ামী লীগ ভারতের হয়ে কাজ করছে। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।”

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের সময় পাঠ শেষ, তথাকথিত চমক দেখানোর প্রক্রিয়ায় ডান বামের সুযোগ নেই। মামলা-হামলা বিএনপি ভয় করে না। আমরা জানি এই সরকারের দৌড় কোন পর্যন্ত। কেউ কেউ বলে দিল্লী পর্যন্ত।”

হান্নান শাহ আরো বলেন, “উনাকে (খালেদা জিয়া) যারা কটুক্তি করেছেন তাদের ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু দেশের হাজার হাজার মানুষকে যে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে মাফ করা হবে কি-না তা জনগণ বিবেচনা করবে।”

তারেক রহমানের মামলায় প্রভাব বিস্তার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিয়েছেন অভিযোগ করে বলেন, “তারেক রহমান নির্দোষ এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। আর তিনি জেনে শুনেই বিচারে প্রভাব বিস্তার করতে বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু বিচারক ন্যায় কাজ করতে গিয়ে ন্যায় বিচার করেছেন।”

বিরোধী দলের সকল পর্যায়ের নেতাদের মুক্তি দাবি করে হান্নান শাহ বলেন, “সকল নির্যাতন বন্ধ করুন। ৭১ সালে আপনার বাবাকে পাকিস্তানিরা অনেক নির্যাতন করেছে। বাবার জীবন থেকে শিক্ষা নিন।”

সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথের আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, “ইয়াংদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমরা জেলে গেল তোমরা রাজপথে থাকবা। শুধু রাজপথে থাকা নয়, রাজপথে থেকে সারা দেশ অচল করে দিয়ে আন্দোলন সফল করতে হবে।”

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গলসহ অনেকে।

বাংলাদেশ রাজনীতি